মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

- আপডেট সময় ০৯:২৫:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
- / 5
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়ার ব্যাগ থেকে বৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ম্যাগাজিন উদ্ধারের ঘটনা এবং সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সোমবার (৩০ জুন) নিজের ফেসবুক পোস্টে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘গতকালকের ঘটনায় এটা বুঝতে পারলাম যে, পিস্তল কেন, মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই। দেশের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজ এজেন্সির মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যেই বিদেশে পৌঁছে যাওয়া অত্যন্ত ভয়াবহ। এভাবে তারা চাইলে দেশি-বিদেশি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, গুপ্তহত্যাকারী কিংবা বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার কাছে আমাদের রিয়েল-টাইম অবস্থান, শিডিউল, স্পর্শকাতর তথ্য বিক্রি করে দিতে পারে।”
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে লিখেন, “আমি সরকারে আছি, তারপরও যদি এমন ঘটনা ঘটে, তাহলে সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তা কতটা হুমকির মুখে তা সহজেই অনুমান করা যায়। এই তথ্য সন্ত্রাসীদের শাস্তিই বা কী? যাদের দায়িত্ব শত্রুর ওপর নজরদারি করা, তারা এখন নিজেদের সব শক্তি জনগণের ওপর নজরদারিতে ব্যয় করছে, আর কোনো বৈধ কারণ না পেয়ে উদ্ভট ও হাস্যকর বিষয় নিয়ে আক্রমণ চালাচ্ছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে গণ-অভ্যুত্থানের কিছু তথাকথিত নেতৃত্বের বক্তব্য এবং হাসিনাপুত্রের বক্তব্যে এখন আর তেমন পার্থক্য নেই।”
আসিফ মাহমুদ আরও উল্লেখ করেন, “আশার কথা হলো, বাংলাদেশের জনগণ এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের সঙ্গে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে, দোষীদের শনাক্ত করতে জনগণের বাকি থাকবে না।”
প্রসঙ্গত, রোববার (২৯ জুন) বিমানবন্দরে তার ব্যাগ তল্লাশির সময় একটি অস্ত্রের ম্যাগাজিন পাওয়া যায়, যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে আসিফ মাহমুদ পরবর্তীতে আরেকটি ফেসবুক পোস্টে জানান, এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে সঙ্গে ছিল এবং সেটি বৈধ লাইসেন্সপ্রাপ্ত অস্ত্রের অংশ।
তিনি লিখেন, “নিরাপত্তার স্বার্থেই আমার লাইসেন্স করা বৈধ অস্ত্র আছে। গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্বের ওপর একাধিকবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে, তাই অস্ত্র বহন স্বাভাবিক। যখন সরকারি প্রোটোকল বা নিরাপত্তা থাকে না, তখন নিজের এবং পরিবারের সুরক্ষার জন্য বৈধ অস্ত্র রাখা ছাড়া উপায় থাকে না।”
এই ঘটনাকে ঘিরে জনমনে যে প্রশ্ন উঠেছে, সেটি নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।