মুরাদনগরে কর্মকাণ্ডের পেছনে রয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয়: আসিফ মাহমুদ

- আপডেট সময় ১০:৪৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
- / 8
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া বলেছেন, মুরাদনগরে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় এবং ক্ষমতা দিয়ে সাধারণ মানুষের ওপর অত্যাচার, নির্যাতন, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে এলাকার পরিস্থিতি দিন দিন অস্থির হয়ে উঠেছে এবং এর দায় সংশ্লিষ্টদেরই বহন করতে হবে।
শনিবার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ২টার দিকে নিজের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সজীব ভুঁইয়া লিখেছেন, এর আগেও একটি চাঁদাবাজিকে হাতেনাতে ধরতে গিয়ে পুলিশকে বাঁধা দিয়ে, থানায় হামলা-ভাঙচুর করেছে এক প্রভাবশালী মাফিয়ার অনুসারীরা। তিনি বলেন, “আজকে আমি লজ্জিত, আমার বলার ভাষা নেই। এলাকার মানুষ মুখে মুখে বলে গণঅভ্যুত্থানে দেশ মুক্ত হয়েছে, অথচ মুরাদনগর চলে গেছে আরও বড় মাফিয়াদের দখলে।”
তিনি ধর্ষণের সাম্প্রতিক ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে বলেন, স্থানীয় প্রশাসন চেষ্টা চালাচ্ছে ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের জন্য। তবে যারা মূল মাফিয়া এবং তাদের পৃষ্ঠপোষক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে গত বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাত আনুমানিক ৮টার দিকে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পরদিন শুক্রবার (২৭ জুন) দুপুরে ওই নারী মুরাদনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় শনিবার রাতে কুমিল্লার পুলিশ সুপার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি ঘটনাটির ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মুরাদনগরে মাফিয়াদের শক্তিশালী নেটওয়ার্কের কারণে অপরাধীরা সহজেই আইনের ফাঁক গলে পালিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ না হলে অপরাধ দমনে স্থানীয় প্রশাসন হিমশিম খাবে বলেও মনে করছেন সচেতন মহল।
মুরাদনগরবাসীর প্রত্যাশা, সন্ত্রাস ও মাফিয়াদের রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় বন্ধ করে অপরাধীদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো নারীর জীবন এভাবে বিপন্ন না হয়।