ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় মানবিক বিপর্যয়: হামলায় ৮৩ নিহত, দুর্ভিক্ষে মৃত্যু বাড়ছে বাড়ি ফেরা হলো না, প্রবাসীকে আনতে গিয়ে সড়কে ঝরলো ৭ প্রাণ জাতীয় নির্বাচন ফ্রেব্রুয়ারি মাসে ব্রিটেন পরিকল্পিতভাবে সামুদ্রিক দুর্ঘটনা ঘটাতে চায়: দাবি রুশ গোয়েন্দা সংস্থার জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ করলেন প্রধান উপদেষ্টা, শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বর্ষপূর্তিতে তিনদিনব্যাপী আয়োজন ছাত্রশিবিরের খাগড়াছড়িতে কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ১ ৫ আগস্ট ইতিহাস কথা বলে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগই হবে আগামীর বাংলাদেশ রুপরেখা : ড. ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অংশগ্রহণ

ডিসেম্বরে নির্বাচন করলে সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হবে: সিপিবি রুহিন হোসেন

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:২৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
  • / 13

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রস্তাবিত এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের চিন্তাকে অপ্রয়োজনীয় কালক্ষেপণ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, নির্বাচন ডিসেম্বরে আয়োজন করলেই সম্ভব হবে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া।

বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির নেতা এস এ রশীদ, খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি এইচ এম শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

রুহিন হোসেন বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন করলে সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হবে। কিন্তু এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইলে তা শুধু অকার্যকর সময়ক্ষেপণই নয়, বরং এর মধ্যে দিয়ে আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো করিডর ও বন্দর নিয়ে নিজেদের স্বার্থ পূরণের সুযোগ পেতে পারে, যা দেশের জন্য বিপজ্জনক।”

তিনি আরও বলেন, এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য সময়োপযোগী নয়। ফেব্রুয়ারির পর রয়েছে শবে বরাত, রমজান, বিভিন্ন শিক্ষা পরীক্ষা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার বিষয়, যা নির্বাচন আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

সিপিবি নেতা বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের যে এখতিয়ার রয়েছে, সেটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুন। যদি এখতিয়ার-বহির্ভূতভাবে কিছু করার চেষ্টা করেন, তবে জনগণের প্রশ্ন উঠবে আপনি কি দেশের স্বার্থে কাজ করছেন, নাকি বিদেশি কোনো শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন?”

রুহিন হোসেন আরও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ না দিলে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামবে, যাতে একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হয়।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নই। তবে এত বড় হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো অনুশোচনার চিহ্ন আমরা দেখিনি। তারা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। জনগণেরই উচিত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দ্রুত নির্বাচন আয়োজন ও একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিসেম্বরে নির্বাচন করলে সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হবে: সিপিবি রুহিন হোসেন

আপডেট সময় ০৫:২৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

 

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রস্তাবিত এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের চিন্তাকে অপ্রয়োজনীয় কালক্ষেপণ বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁর মতে, নির্বাচন ডিসেম্বরে আয়োজন করলেই সম্ভব হবে সংস্কার ও বিচার কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়া।

বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির নেতা এস এ রশীদ, খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি এইচ এম শাহাদাত, সাধারণ সম্পাদক নিত্যানন্দ ঢালী ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।

রুহিন হোসেন বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন করলে সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান হবে। কিন্তু এপ্রিলে নির্বাচন করতে চাইলে তা শুধু অকার্যকর সময়ক্ষেপণই নয়, বরং এর মধ্যে দিয়ে আধিপত্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো করিডর ও বন্দর নিয়ে নিজেদের স্বার্থ পূরণের সুযোগ পেতে পারে, যা দেশের জন্য বিপজ্জনক।”

তিনি আরও বলেন, এপ্রিল মাস নির্বাচনের জন্য সময়োপযোগী নয়। ফেব্রুয়ারির পর রয়েছে শবে বরাত, রমজান, বিভিন্ন শিক্ষা পরীক্ষা ও প্রতিকূল আবহাওয়ার বিষয়, যা নির্বাচন আয়োজনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে।

সিপিবি নেতা বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের যে এখতিয়ার রয়েছে, সেটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকুন। যদি এখতিয়ার-বহির্ভূতভাবে কিছু করার চেষ্টা করেন, তবে জনগণের প্রশ্ন উঠবে আপনি কি দেশের স্বার্থে কাজ করছেন, নাকি বিদেশি কোনো শক্তির ক্রীড়নক হিসেবে কাজ করছেন?”

রুহিন হোসেন আরও বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ না দিলে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে নামবে, যাতে একটি অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হয়।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা উচিত কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “নির্বাহী আদেশে কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমরা নই। তবে এত বড় হত্যাকাণ্ডের পরও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কোনো অনুশোচনার চিহ্ন আমরা দেখিনি। তারা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে কথা বলার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে। জনগণেরই উচিত এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

সংবাদ সম্মেলনে নেতারা দ্রুত নির্বাচন আয়োজন ও একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।