ভারতে করোনার ভয়ংকর রূপ: ভারত ভ্রমণে বিশেষ সতর্কতা জারি করলো বাংলাদেশ

- আপডেট সময় ১০:৩৪:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জুন ২০২৫
- / 15
ভারতে আবারও করোনাভাইরাস ভয়ংকর রূপে ফিরে এসেছে। ২০২০ সালের মহামারির পর এবার ভাইরাসের অর্ধডজন নতুন ভেরিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে, যা দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর পাশাপাশি মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ সরকার ভারতসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এসব দেশে ভ্রমণ না করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার (৯ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা এই সতর্কবার্তা জারি করেছে। এতে বলা হয়েছে, ওমিক্রনের নতুন সাব-ভেরিয়েন্ট যেমন এলএফ.৭, এক্সএফজি, জেএন-১ ও এনবি ১.৮.১ এর সংক্রমণ বিভিন্ন দেশে বাড়ছে। এসব আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকায় দেশের সব স্থল, নৌ ও বিমানবন্দরে হেলথ স্ক্রিনিং ও নজরদারি জোরদার করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. হালিমুর রশিদ স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, দেশে প্রবেশের পথে থার্মাল স্ক্যানার ও ডিজিটাল হ্যান্ড হেল্ড থার্মোমিটারের মাধ্যমে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করতে হবে। স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস ও পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) মজুত রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে, জনসচেতনতা বাড়াতে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রচার করতে এবং জনগণকে ভারতসহ সংক্রমণপ্রবণ দেশগুলোতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এদিকে, আইসিডিডিআরবির গবেষকেরা জানিয়েছেন, করোনার আরও দুটি নতুন ধরন—এক্সএফজি ও এক্সএফসি শনাক্ত হয়েছে। এগুলো অমিক্রন জেএন-১ এর উপধরন এবং এদের সংক্রমণ ক্ষমতা বেশি। এ পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় নিম্নলিখিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে:
দিনে সাতবার বা প্রয়োজন মতো অন্তত ২৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
নাক-মুখ ঢাকতে মাস্ক ব্যবহার করুন।
হাঁচি-কাশির সময় টিস্যু বা কাপড় দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন।
অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।
আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
সন্দেহজনক রোগীদের জন্য নির্দেশনা:
কেউ অসুস্থ হলে ঘরে থাকুন এবং প্রয়োজন হলে নিকটস্থ হাসপাতালে যোগাযোগ করুন।
রোগীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
জটিল পরিস্থিতিতে আইইডিসিআরের হটলাইনে (০১৪০১-১৯৬২৯৩) যোগাযোগ করুন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মনে করে, সময়মতো ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সর্বসাধারণের সতর্কতা বজায় রাখার মাধ্যমেই এই নতুন সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো সম্ভব।