ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান সীমান্তে ধরা পড়লো তুরস্কের শীর্ষ আইএস নেতা, ভেস্তে গেল বড় হামলার ছক শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি

নির্বাচনকে ঘিরে জাতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে: মির্জা আব্বাস

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৬:০৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি: সংগৃহীত

 

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শনিবার (৩১ মে) যাত্রাবাড়ীতে গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করবেন না। যে কোনো মূল্যে দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার আসা দরকার। তবেই অস্থিরতা দূর হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বিরোধিতা করার যেমন অধিকার আছে, ঠিক তেমনি নির্বাচনের পক্ষে কথা বলার অধিকার বিএনপিরও রয়েছে। তবে এটিকে পুঁজি করে জাতিকে বিপথে নেওয়ার চেষ্টা কোনোভাবেই ঠিক নয়।”

আব্বাস অভিযোগ করেন, “অনেকে আশঙ্কায় আছে বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে। অথচ এর আগেও বিএনপি ৩-৪ বার ক্ষমতায় ছিল, তখন তো এমন ভয় ছিল না। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, বিএনপি সেটি মেনে নেবে। কিন্তু দেশের অস্থিরতা কাটাতে রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই।”

এদিন রাজধানীতে আরও দুটি অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য দেন। রাজধানীর একটি ভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের লক্ষ্য একটাই জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা।”

তিনি অভিযোগ করেন, “অল্প কয়েকটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায় না। অথচ তারা বিরোধী দলগুলোর মতামতকে দমন করতে চায়।”

একইদিন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে কৃষক দলের আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “যারা নির্বাচন চায় না, তারা এখন বিএনপিকে ‘দেশদ্রোহী’ কিংবা ‘বিদেশি এজেন্ট’ বলছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

তিনি জানান, “আগামী ২ জুন দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য ড. ইউনূস বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”

এদিকে শিল্পকলা একাডেমিতে আরেকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বোঝা যায়, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়াটা একটি বড় ভুল ছিল। তিনি এখন নির্বাচন ও বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন।”

বিএনপির নেতারা দেশজুড়ে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি তুলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

নির্বাচনকে ঘিরে জাতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে: মির্জা আব্বাস

আপডেট সময় ০৬:০৭:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতিকে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। শনিবার (৩১ মে) যাত্রাবাড়ীতে গরিব ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

মির্জা আব্বাস বলেন, “নির্বাচন নিয়ে জাতিকে ব্ল্যাকমেইল করবেন না। যে কোনো মূল্যে দেশে একটি রাজনৈতিক সরকার আসা দরকার। তবেই অস্থিরতা দূর হবে।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচন নিয়ে বিরোধিতা করার যেমন অধিকার আছে, ঠিক তেমনি নির্বাচনের পক্ষে কথা বলার অধিকার বিএনপিরও রয়েছে। তবে এটিকে পুঁজি করে জাতিকে বিপথে নেওয়ার চেষ্টা কোনোভাবেই ঠিক নয়।”

আব্বাস অভিযোগ করেন, “অনেকে আশঙ্কায় আছে বিএনপি যদি আবার ক্ষমতায় আসে। অথচ এর আগেও বিএনপি ৩-৪ বার ক্ষমতায় ছিল, তখন তো এমন ভয় ছিল না। জনগণ যাকে নির্বাচিত করবে, বিএনপি সেটি মেনে নেবে। কিন্তু দেশের অস্থিরতা কাটাতে রাজনৈতিক সরকারের বিকল্প নেই।”

এদিন রাজধানীতে আরও দুটি অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বক্তব্য দেন। রাজধানীর একটি ভিন্ন অনুষ্ঠানে বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের লক্ষ্য একটাই জনগণের ভোটের মাধ্যমে একটি বৈধ সরকার প্রতিষ্ঠা।”

তিনি অভিযোগ করেন, “অল্প কয়েকটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায় না। অথচ তারা বিরোধী দলগুলোর মতামতকে দমন করতে চায়।”

একইদিন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে কৃষক দলের আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “যারা নির্বাচন চায় না, তারা এখন বিএনপিকে ‘দেশদ্রোহী’ কিংবা ‘বিদেশি এজেন্ট’ বলছে। এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়।”

তিনি জানান, “আগামী ২ জুন দ্বিতীয় দফা আলোচনার জন্য ড. ইউনূস বিএনপিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।”

এদিকে শিল্পকলা একাডেমিতে আরেকটি অনুষ্ঠানে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “ড. ইউনূসের সাম্প্রতিক বক্তব্যে বোঝা যায়, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়াটা একটি বড় ভুল ছিল। তিনি এখন নির্বাচন ও বিএনপিকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিচ্ছেন।”

বিএনপির নেতারা দেশজুড়ে নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি তুলে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন।