ঢাকা ০৩:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০২ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পাকিস্তান সীমান্তে ধরা পড়লো তুরস্কের শীর্ষ আইএস নেতা, ভেস্তে গেল বড় হামলার ছক শিশুর পুষ্টি ও দুগ্ধশিল্পের অগ্রগতিতে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ ইউক্রেনের ড্রোন হামলায় রাশিয়ার বিমানঘাঁটি বিধ্বস্ত, দাবি ৪০টি যুদ্ধবিমান ধ্বংসের গা/জা/য় ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ইসরাইলের হামলা, নিহত অন্তত ৫০ শীর্ষে রেমিট্যান্সের ধারা: মে মাসে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ ২৯৭ কোটি ডলার বাংলাদেশের স্থিতিশীলতা নস্যাৎ করতে অপপ্রচারে লিপ্ত কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম: সেনাবাহিনী রাজস্ব খাতে চাকরির দাবিতে আন্দোলনে ‘তথ্য আপা’দের সরিয়ে দিল পুলিশ ঐতিহ্যের ছোঁয়া আর উৎসবের রঙ নিয়ে হংকংয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্রাগন বোট ফেস্টিভাল দুধ শুধু পণ্য নয়, আমাদের সংস্কৃতির অংশ: ফরিদা আখতার সিলেট-মৌলভীবাজারে বন্যার প্রকোপ, বাড়ছে নদ-নদীর পানি

তামাক কোম্পানির বোর্ডে সচিবদের থাকা প্রশ্নবিদ্ধ: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • / 8

ছবি: সংগৃহীত

 

তামাক নিয়ন্ত্রণে সচিবদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, তামাক কোম্পানির বোর্ডে সচিবদের থাকা সরকারের তামাকবিরোধী কার্যক্রমে বৈপরীত্য সৃষ্টি করছে।

শনিবার (৩১ মে) জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য ৯টি ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “তামাক কোম্পানির বোর্ড সদস্য হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত কি না, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। কারণ এটি সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

তিনি আরও বলেন, “আইন থাকলেও অনেক সময় তা যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় না। এবার সময় এসেছে কঠোরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের।”

তামাক কোম্পানিগুলোর নানা কৌশলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ই-সিগারেটসহ বিভিন্ন নতুন ধরণের ধূমপান সামগ্রী দিয়ে তারা তরুণ প্রজন্মকে প্রলুব্ধ করছে। আমাদের এই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। ধূমপান বিরোধী একটি শক্তিশালী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলোর রাষ্ট্রের উপর এমন প্রভাব পড়েছে যে, কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ নেওয়া এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ই-সিগারেট প্রসঙ্গে বলেন, “যদিও ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ, তারপরও কিছু কোম্পানি গোপনে এর উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন জরুরি। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে এ নিয়ে কাজ করছে।”

উল্লেখ্য, তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে, তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান আয়োজকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

তামাক কোম্পানির বোর্ডে সচিবদের থাকা প্রশ্নবিদ্ধ: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৪:৪৮:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

 

তামাক নিয়ন্ত্রণে সচিবদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, তামাক কোম্পানির বোর্ডে সচিবদের থাকা সরকারের তামাকবিরোধী কার্যক্রমে বৈপরীত্য সৃষ্টি করছে।

শনিবার (৩১ মে) জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য ৯টি ক্যাটাগরিতে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় সম্মাননা প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “তামাক কোম্পানির বোর্ড সদস্য হিসেবে সচিবদের থাকা উচিত কি না, তা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা দরকার। কারণ এটি সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

তিনি আরও বলেন, “আইন থাকলেও অনেক সময় তা যথাযথভাবে প্রয়োগ হয় না। এবার সময় এসেছে কঠোরভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের।”

তামাক কোম্পানিগুলোর নানা কৌশলের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ই-সিগারেটসহ বিভিন্ন নতুন ধরণের ধূমপান সামগ্রী দিয়ে তারা তরুণ প্রজন্মকে প্রলুব্ধ করছে। আমাদের এই ফাঁদে পা দেওয়া যাবে না। ধূমপান বিরোধী একটি শক্তিশালী সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

প্রধান উপদেষ্টার স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ সহকারী সায়েদুর রহমান বলেন, “তামাক কোম্পানিগুলোর রাষ্ট্রের উপর এমন প্রভাব পড়েছে যে, কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ নেওয়া এখন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ই-সিগারেট প্রসঙ্গে বলেন, “যদিও ই-সিগারেট আমদানি নিষিদ্ধ, তারপরও কিছু কোম্পানি গোপনে এর উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে।”

তিনি আরও বলেন, “তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পুরোপুরি কার্যকর করতে হলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন জরুরি। বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে এ নিয়ে কাজ করছে।”

উল্লেখ্য, তামাক নিয়ন্ত্রণে অবদানের জন্য এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে, তারা সবাই দীর্ঘদিন ধরে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান আয়োজকরা।