অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ: সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ১০:৪৮:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
- / 10
বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জাপানের টোকিওতে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত নিক্কেই সম্মেলনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, “আমরা এমন একটি নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে কাজ করছি যা ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা এবং মানুষের মর্যাদা রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। গণতন্ত্রে সুশৃঙ্খল রূপান্তর নিশ্চিত করতে এই নির্বাচন হতে হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক, গ্রহণযোগ্য ও স্বচ্ছ। অস্থির বিশ্বপ্রেক্ষাপটে জনগণের ক্ষমতায়ন ও তৃণমূল নেতৃত্ব আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।”
বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘাত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক যুদ্ধ ও সংঘর্ষের সূত্রপাত হচ্ছে। ইউক্রেন, গাজা, দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংকটে লাখ লাখ মানুষ জীবন ও জীবিকা হারাচ্ছে, যা শান্তির পথকে প্রতিনিয়ত কঠিন করে তুলছে।”
ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, “বিশ্বব্যাপী যুদ্ধে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করা হচ্ছে, অথচ সেই অর্থের অভাবে কোটি কোটি মানুষ খাদ্য ও মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সাম্প্রতিক ভূমিকম্প সেই সংকটকে আরও গভীর মানবিক বিপর্যয়ে রূপ দিয়েছে।”
দক্ষিণ এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সীমিত আকারের এক যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানোর জন্য উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানাই। আমরা দক্ষিণ এশিয়ায় স্থায়ী শান্তি, স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রত্যাশা করি। এই অঞ্চলের দেশগুলোকে শূন্য-সমষ্টিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবর্তে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভাগ করে নেওয়া সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে।”
ড. ইউনূসের বক্তব্যে পরস্পরের ওপর নির্ভরশীলতা ও সহাবস্থানের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়। তিনি বলেন, “দ্বন্দ্ব নয়, সহযোগিতার মধ্যেই ভবিষ্যতের উত্তরণের পথ নিহিত।”
এই সম্মেলনে বিশ্ব নেতৃত্বের সঙ্গে শান্তি, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন বিষয়ে মতবিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার অবস্থানকে আরও সুসংহত করেছে।