ঢাকা ১০:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আগামী জুনে নির্বাচন আয়োজনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করলেন অধ্যাপক ইউনূস পাকিস্তান সফরে ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে আজ মাঠে নামছে টাইগাররা ৩ মাসে নির্বাচন সম্ভব, ১০ মাসেও দেয়া হচ্ছে না নির্বাচন: তারেক রহমান দেশের আকাশে জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, ৭ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপস নয়: বিমানবাহিনী প্রধান স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি: নারী ও শিশুসহ নিহত ৭ ফিলিস্তিনে কলম্বিয়ার প্রথম রাষ্ট্রদূত নিয়োগ: মধ্যপ্রাচ্য সংকটে নতুন কূটনৈতিক মাত্রা টেকনাফে যৌথবাহিনীর অভিযান, ১২ কোটির ইয়াবা ও আইস উদ্ধার সুব্রত বাইনসহ চারজন ১৪ দিনের রিমান্ডে সরকারের শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত পচন ধরেছে: বিএনপির মহাসমাবেশে মির্জা আব্বাস

জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • / 6

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনৈতিক সংস্কার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জুনের প্রথম সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার (২৬ মে) রাতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা প্রথম দফা আলোচনা (যা গত ১৯ মে শেষ হয়) শেষে রাজনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “জনগণকে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী করতে হবে। কেউ যেন ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে না পারে সে বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করা জরুরি। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এত বড় পরিবর্তনের পর যে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তা যেন আর পেছনে না পড়ে। জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক কাঠামো মজবুত করা সম্ভব।”

সভায় অতীতে নির্বাচনী অনিয়মে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, এ বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

কমিশনের সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া অবিলম্বে জনপ্রশাসন সংস্কার বাস্তবায়ন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “১৯৮২ সালের এনাম কমিশনের তৈরি অরগানোগ্রাম এখনো চালু রয়েছে, অথচ বাস্তবতা অনেক বদলে গেছে। নতুন অনেক সংস্থা তৈরি হয়েছে, অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই চিত্র পরিবর্তন করা জরুরি।”

এনবিআর সংস্কার নিয়ে সমন্বয়হীনতার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি এমদাদুল হক বলেন, “বিচারপতি নিয়োগের জন্য গঠিত কমিশন যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

এছাড়াও দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যম, শ্রম, স্থানীয় সরকার, নারী ও স্বাস্থ্য খাতে গঠিত নতুন কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবি জানান।

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের খসড়া প্রস্তাবটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশের আহ্বান জানান।

সভায় পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি সফর রাজ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

আপডেট সময় ১১:১৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

 

রাজনৈতিক সংস্কার ও জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জুনের প্রথম সপ্তাহে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শুরু করতে যাচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সোমবার (২৬ মে) রাতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এ সময় কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা প্রথম দফা আলোচনা (যা গত ১৯ মে শেষ হয়) শেষে রাজনৈতিক অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। বৈঠকে প্রফেসর ইউনূস বলেন, “জনগণকে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহী করতে হবে। কেউ যেন ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিতে না পারে সে বিষয়ে নাগরিকদের সচেতন করা জরুরি। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সুষ্ঠু ও নিরাপদ ভোটের ব্যবস্থা করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “এত বড় পরিবর্তনের পর যে বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে, তা যেন আর পেছনে না পড়ে। জনগণের আস্থা অর্জনের মাধ্যমেই গণতান্ত্রিক কাঠামো মজবুত করা সম্ভব।”

সভায় অতীতে নির্বাচনী অনিয়মে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের বিষয়েও আলোচনা হয়। এ প্রসঙ্গে সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, এ বিষয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ইতোমধ্যেই ঐকমত্যে পৌঁছেছে।

কমিশনের সদস্য আইয়ুব ভূঁইয়া অবিলম্বে জনপ্রশাসন সংস্কার বাস্তবায়ন কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “১৯৮২ সালের এনাম কমিশনের তৈরি অরগানোগ্রাম এখনো চালু রয়েছে, অথচ বাস্তবতা অনেক বদলে গেছে। নতুন অনেক সংস্থা তৈরি হয়েছে, অনেকগুলো অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে। নতুন কমিশন গঠনের মাধ্যমে এই চিত্র পরিবর্তন করা জরুরি।”

এনবিআর সংস্কার নিয়ে সমন্বয়হীনতার কথাও তিনি তুলে ধরেন।

বিচার বিভাগীয় সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি এমদাদুল হক বলেন, “বিচারপতি নিয়োগের জন্য গঠিত কমিশন যেন স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”

এছাড়াও দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি ইফতেখারুজ্জামান গণমাধ্যম, শ্রম, স্থানীয় সরকার, নারী ও স্বাস্থ্য খাতে গঠিত নতুন কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে একটি রোডম্যাপ প্রণয়নের দাবি জানান।

নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের খসড়া প্রস্তাবটি অধ্যাদেশ আকারে প্রকাশের আহ্বান জানান।

সভায় পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিনিধি সফর রাজ হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।