সকলের ধর্মীয় স্বাধীনতা রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকার: প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস

- আপডেট সময় ০৮:১৪:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
- / 6
দেশে সকল ধর্মের মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (২৬ মে) আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশনের (ইউএসসিআইআরএফ) সভাপতি স্টিফেন শ্নেকের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার এজেন্ডা, সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব এবং চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ১৭ কোটি ১০ লাখ মানুষের বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখতে সরকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “আন্তর্জাতিক সাংবাদিকরা চাইলে যে কোনো সময় বাংলাদেশ সফর করতে পারেন। আমরা চাই সবাই সরেজমিনে পরিস্থিতি দেখুন।”
তিনি উল্লেখ করেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানকে কলঙ্কিত করতে এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার খর্ব করার উদ্দেশ্যে যেভাবে মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়েছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
তিনি আরও বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার কিছু গণমাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক মহলে এই অভ্যুত্থানকে ইসলামি চরমপন্থী আন্দোলন হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টাও হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, দক্ষিণ এশিয়ায় সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা এবং ফিলিস্তিনে গণহত্যার ফলে অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা বেড়েছে, তবে বাংলাদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় সরকার কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনায় শ্নেক সংস্কার কমিশনের অগ্রগতি ও প্রস্তাবিত সংবিধান সংশোধন সম্পর্কে খোঁজ নেন। এ বিষয়ে ড. ইউনূস বলেন, “এই সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘুদের অধিকার আরও সংহত হবে।”
তিনি জানান, সংবিধান সংশোধন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ চলছে এবং সরকার নিশ্চিত করছে যেন সংখ্যালঘুরাও সংখ্যাগরিষ্ঠের মতো সমান অধিকার ভোগ করতে পারেন।
রোহিঙ্গা সংকট প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, “রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা জনগণের দুর্দশা এবং দীর্ঘদিনের নিপীড়ন বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে ইউএসসিআইআরএফ-এর সমর্থন দরকার।”
তিনি জানান, জাতিসংঘ সেপ্টেম্বর মাসে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি বিশেষ অধিবেশন আহ্বান করতে পারে।
ড. ইউনূস বলেন, “সমস্যার সমাধান যত দ্রুত সম্ভব করা দরকার। শরণার্থী শিবিরে একটি বিক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্ম গড়ে উঠছে তাদের সামনে আশার আলো দেখাতে হবে।”