ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাগর-রুনি হত্যা: ১১৮ বারের মতো পেছালো মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ভারতের বিধিনিষেধে আমাদের আত্মনির্ভরতার নতুন দুয়ার খুলছে: আসিফ মাহমুদ অপসারণ নয়, নিজ ইচ্ছাতেই সরে যেতে চান পররাষ্ট্রসচিব: জানালেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সারা দেশে পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫৩৩ জন দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য জরুরি নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেলেন মেহজাবীন অচল সেন্টমার্টিন দ্বীপে দুর্বিষহ জীবন নতুন নোট আসছে বাজারে, সমাধান মিলছে ছেঁড়া টাকার ঝামেলায় শাসনের পথে র‍্যাবকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে চলার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ইউক্রেনের সুমিতে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, ৬ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত

ভুয়া ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫
  • / 4

ছবি সংগৃহীত

 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি মারধরের ভিডিও নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি। ভিডিওটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে জব্বার মন্ডল নিজেই এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বুধবার (২১ মে) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, “সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি একটি ফেক নিউজ। এই ভিডিওর সাথে আমার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাকে আপনাদের দোয়ায় রাখবেন।”

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ালে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ভিডিওটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার নাম জড়িয়ে ভাইরাল করা হয়েছে, যাতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

এর আগেও একই ধরনের প্রতারণার শিকার হন এই কর্মকর্তা। গত ৩১ মার্চ তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খোলার অভিযোগে তিনি রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির নম্বর ছিল ১৬৯৯। ওই সময়ও তিনি ফেসবুকে একটি সতর্কতামূলক পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “আমার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে কিছু নকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করব বিভ্রান্ত না হতে এবং সতর্ক থাকতে।”

প্রসঙ্গত, মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ভোক্তা অধিকার রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন। তার দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রতি অনেকেই শ্রদ্ধা ও সমর্থন প্রকাশ করে থাকেন।

বর্তমানে ছড়ানো গুজব এবং ভুয়া ভিডিওর বিরুদ্ধে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে কোনো কর্মকর্তার সম্মানহানির চেষ্টা না করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভুয়া ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন ভোক্তা অধিকারের জব্বার মন্ডল

আপডেট সময় ০৩:০২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

 

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডলকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি মারধরের ভিডিও নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি। ভিডিওটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও মিথ্যা উল্লেখ করে জব্বার মন্ডল নিজেই এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

বুধবার (২১ মে) নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেন, “সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার নাম ব্যবহার করে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। এটি একটি ফেক নিউজ। এই ভিডিওর সাথে আমার কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতা নেই। আমাকে আপনাদের দোয়ায় রাখবেন।”

এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ালে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানান, ভিডিওটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার নাম জড়িয়ে ভাইরাল করা হয়েছে, যাতে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।

এর আগেও একই ধরনের প্রতারণার শিকার হন এই কর্মকর্তা। গত ৩১ মার্চ তার নাম ও ছবি ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ খোলার অভিযোগে তিনি রাজধানীর তেজগাঁও থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডির নম্বর ছিল ১৬৯৯। ওই সময়ও তিনি ফেসবুকে একটি সতর্কতামূলক পোস্ট দেন। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, “আমার নাম এবং ছবি ব্যবহার করে কিছু নকল ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ফেসবুক পেজ খোলা হয়েছে। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। সবাইকে অনুরোধ করব বিভ্রান্ত না হতে এবং সতর্ক থাকতে।”

প্রসঙ্গত, মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ভোক্তা অধিকার রক্ষায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা অর্জন করেছেন। তার দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার প্রতি অনেকেই শ্রদ্ধা ও সমর্থন প্রকাশ করে থাকেন।

বর্তমানে ছড়ানো গুজব এবং ভুয়া ভিডিওর বিরুদ্ধে অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, এমন অপপ্রচারের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে কোনো কর্মকর্তার সম্মানহানির চেষ্টা না করতে পারে।