০১:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

বিচারের আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সাইবার স্পেসেও নিষেধাজ্ঞা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 141

ছবি সংগৃহীত

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু মাঠপর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর যাবতীয় অনলাইন কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজসহ সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এখন উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। এটি জারি হলে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চিঠি পাঠানো হবে। যাতে দ্রুততম সময়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।”

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো ৫ আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে অনলাইনে সক্রিয় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

দলটির পক্ষ থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স (পূর্বের টুইটার)-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিবৃতি, বক্তব্য ও রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করা হচ্ছিল। একইসঙ্গে বিভিন্ন সময় এসব মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।

সরকারি সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞার পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গে বিটিআরসি সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি সরিয়ে ফেলতে উদ্যোগ নেবে। এর ফলে অনলাইনে দলটির কার্যক্রম বন্ধ করা হবে এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।

এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকে একে রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ফেরত হিসেবে দেখছেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

বিচারের আগপর্যন্ত আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ, সাইবার স্পেসেও নিষেধাজ্ঞা

আপডেট সময় ০২:০৫:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। গতকাল শনিবার রাতে উপদেষ্টা পরিষদের এক বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শুধু মাঠপর্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়, সাইবার স্পেসে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোর যাবতীয় অনলাইন কার্যক্রমেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিশেষ ওই বৈঠকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনীও অনুমোদন করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজসহ সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব গণমাধ্যমকে বলেন, “আমরা এখন উপদেষ্টা পরিষদের সিদ্ধান্তের পরিপত্রের জন্য অপেক্ষা করছি। এটি জারি হলে বিটিআরসির মাধ্যমে মেটাসহ অন্যান্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে চিঠি পাঠানো হবে। যাতে দ্রুততম সময়ে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়।”

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনগুলো ৫ আগস্ট দলের সভাপতি শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর থেকে অনলাইনে সক্রিয় থেকে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল।

দলটির পক্ষ থেকে ফেসবুক, ইউটিউব ও এক্স (পূর্বের টুইটার)-এর মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে বিবৃতি, বক্তব্য ও রাজনৈতিক বার্তা প্রচার করা হচ্ছিল। একইসঙ্গে বিভিন্ন সময় এসব মাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর অভিযোগও উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।

সরকারি সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞার পরিপত্র জারির সঙ্গে সঙ্গে বিটিআরসি সকল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম থেকে আওয়ামী লীগের উপস্থিতি সরিয়ে ফেলতে উদ্যোগ নেবে। এর ফলে অনলাইনে দলটির কার্যক্রম বন্ধ করা হবে এবং তথ্য নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থানে যাবে সরকার।

এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অনেকে একে রাজনৈতিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ফেরত হিসেবে দেখছেন।