ঢাকা ১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প বেলুন, রশি আর জেদ, এই তিন দিয়েই ডুবন্ত যুদ্ধজাহাজ তুলল উত্তর কোরিয়া 🕋 পবিত্র হজ আজ পুলিশের জন্য কেনা হচ্ছে ২০০ গাড়ি

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আইনি উদ্যোগকে ইতিবাচক সমর্থন বিএনপির

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৫০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
  • / 10

ছবি সংগৃহীত

 

ছাত্র-জনতার দাবির মুখে জুলাই গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী এনে দলীয় বিচার কার্যক্রম পরিচালনারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) রাতে যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। রাত ১১টার দিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনীর এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলছে বিএনপি। দলটির মতে, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হবে। শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেন, আওয়ামী লীগকে আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগের সঙ্গে তারা একমত। তারা দাবি করেন, একমাত্র বিএনপিই দীর্ঘদিন ধরে আইন ও বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে আসছে। যদিও বিলম্বে হলেও সরকার সেই পথে হাঁটছে বলে বিএনপির নেতাদের মন্তব্য।

তবে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রম কতদিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। এক বিএনপি নেতা বলেন, যদি ছাত্রসমাজ দাবি তোলে যে বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনও বন্ধ থাকবে, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। এ নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান না জানালে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি লিখিতভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। এ বিষয়ে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার চাইলে আইনগতভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে।

এদিকে, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল এবং ছাত্র-জনতা তিনদিন ধরে টানা কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে। তবে বিএনপি সরাসরি সেই আন্দোলনে অংশ নেয়নি। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এনসিপির আন্দোলন ও সরকারের সিদ্ধান্ত ‘ফ্রেন্ডলি ম্যাচ’-এর মতো পরিকল্পিত। তবুও পরিস্থিতি আঁচ করে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় প্রতিক্রিয়া ও কৌশল নির্ধারণে গভীর রাতে বৈঠক করেন তারেক রহমান।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আইনি উদ্যোগকে ইতিবাচক সমর্থন বিএনপির

আপডেট সময় ১২:৫০:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫

 

ছাত্র-জনতার দাবির মুখে জুলাই গণহত্যার ঘটনায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতাকর্মীদের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত দলটির সকল রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনী এনে দলীয় বিচার কার্যক্রম পরিচালনারও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (১০ মে) রাতে যমুনায় উপদেষ্টা পরিষদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। রাত ১১টার দিকে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে সংশোধনীর এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক বলছে বিএনপি। দলটির মতে, এর মাধ্যমে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে শাস্তির আওতায় আনা সম্ভব হবে। শনিবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ নিয়ে আলোচনা হয়। ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বৈঠকে বিএনপির নীতিনির্ধারকরা বলেন, আওয়ামী লীগকে আদালতের মাধ্যমে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগের সঙ্গে তারা একমত। তারা দাবি করেন, একমাত্র বিএনপিই দীর্ঘদিন ধরে আইন ও বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে আসছে। যদিও বিলম্বে হলেও সরকার সেই পথে হাঁটছে বলে বিএনপির নেতাদের মন্তব্য।

তবে বিচার প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ কার্যক্রম কতদিন চলবে, তা স্পষ্ট নয়। এক বিএনপি নেতা বলেন, যদি ছাত্রসমাজ দাবি তোলে যে বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনও বন্ধ থাকবে, তাহলে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে? এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি যদি নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে নামে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হয়ে উঠতে পারে। এ নিয়ে সরকারের সুস্পষ্ট অবস্থান না জানালে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আরও বাড়বে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি লিখিতভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়। এ বিষয়ে শুক্রবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সরকার চাইলে আইনগতভাবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে।

এদিকে, এনসিপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল এবং ছাত্র-জনতা তিনদিন ধরে টানা কর্মসূচি পালন করে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে। তবে বিএনপি সরাসরি সেই আন্দোলনে অংশ নেয়নি। বিএনপির নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন, এনসিপির আন্দোলন ও সরকারের সিদ্ধান্ত ‘ফ্রেন্ডলি ম্যাচ’-এর মতো পরিকল্পিত। তবুও পরিস্থিতি আঁচ করে বিএনপির পক্ষ থেকে দলীয় প্রতিক্রিয়া ও কৌশল নির্ধারণে গভীর রাতে বৈঠক করেন তারেক রহমান।