‘আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য শান্তিই একমাত্র পথ’: মালালা ইউসুফজাই

- আপডেট সময় ১১:৪৫:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
- / 12
শান্তিতে নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা নিরসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত সংলাপ ও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা শুরু করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তা এবং সমৃদ্ধির জন্য শান্তিই একমাত্র পথ।”
সাম্প্রতিক সময়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলার প্রেক্ষাপটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে মালালা বলেন, “ঘৃণা ও সহিংসতা আমাদের প্রকৃত শত্রু, একে অপর নয়।”
তিনি পাকিস্তান ও ভারতের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন উত্তেজনা প্রশমনে উদ্যোগী হন, বেসামরিক নাগরিকদের বিশেষ করে শিশুদের রক্ষা করেন এবং যেসব শক্তি বিভাজন সৃষ্টি করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হন।
মালালা তার পোস্টে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে প্রাণ হারানো বেসামরিক নাগরিকদের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন, “এই বিপজ্জনক সময়ে আমি পাকিস্তানে আমার পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী, শিক্ষাবিদ ও মেয়েদের কথা ভাবছি, যারা আমার সঙ্গে এতদিন ধরে কাজ করে আসছেন।”
তার এই আহ্বান এমন এক সময় এলো যখন দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সীমান্তে একের পর এক হামলায় উভয় পক্ষেরই সাধারণ মানুষ হতাহত হচ্ছেন। এতে শুধু রাজনৈতিক সম্পর্কই নয়, মানবিক দিক থেকেও ব্যাপক উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
মালালা মনে করেন, যুদ্ধ বা সহিংসতা কোনো সমস্যার সমাধান নয়। বরং সংলাপ, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তিপূর্ণ কূটনীতি দিয়েই টেকসই সমাধান সম্ভব। তিনি বলেন, “আমরা সবাই চাই একটি নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ। এটি একে অপরের সঙ্গে লড়াই করে নয়, বরং একসঙ্গে কাজ করেই অর্জন করতে হবে।”
পাকিস্তানী বংশোদ্ভূত এই শান্তিকর্মী বিশ্বব্যাপী শিক্ষার পক্ষে সোচ্চার একজন কণ্ঠস্বর। তার এ মন্তব্য বিশ্বজুড়ে শান্তিকামী মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে, বিশেষ করে যখন দক্ষিণ এশিয়ার দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মালালার মতো একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বের এ ধরনের বক্তব্য সীমান্তের দুই পাশেই শান্তিকামী মানুষদের উৎসাহিত করবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যেও আলোচনার প্রয়োজনীয়তা জাগিয়ে তুলবে।
মালালার বক্তব্যে আবারও স্পষ্ট হলো শান্তি, মানবতা ও সংহতির পথেই টিকে থাকতে পারে বিশ্ব। ঘৃণা নয়, ভালোবাসাই হতে পারে মানবতার বিজয়গাথা।