ঢাকা ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১০ হাজার ছাড়াল, ২৪ ঘণ্টায় নতুন ৪২৯ জন জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নে সরকারের অগ্রগতি নেই: অভিযোগ নাহিদ ইসলামের পাকিস্তানকে ৩৪০ কোটি ডলারের বাণিজ্যিক ঋণ নবায়ন দিল চীন প্রেমিকার বিয়ের খবর শুনে কিশোরের ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা পদ্মা নদীতে ভয়াবহ ভাঙন: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ ক্যাম্পাসে সন্ত্রাস ফিরিয়ে আনতে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে একটি মহল: ছাত্রশিবির সভাপতি হারিয়ে যাচ্ছে আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী ‘গুলতি’ মিসাইল সাথে রাখলেও আমি, আপনি কেউই নিরাপদ নই: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ শেরপুরের হলদীগ্রাম সীমান্তে ২৭৬ বোতল ভারতীয় মদ জব্দ পাকিস্তান ও ভারতে বন্যা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি, মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে ৭৯

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
  • / 14

ছবি সংগৃহীত

 

স্বাস্থ্যখাতের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর সমাধানে গঠিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সোমবার (৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা এ প্রতিবেদনকে “যুগান্তকারী পদক্ষেপ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যখাতের সংকট অনেক দিনের। এই প্রতিবেদন বাস্তবায়নের মাধ্যমে যদি আমরা কার্যকর সমাধান দিতে পারি, তাহলে সেটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন হবে।”

প্রফেসর ইউনূস স্বাস্থ্যখাতের অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে ডাক্তার সংকটের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়, আবার কোনো স্থানে ডাক্তার থাকলেও প্রয়োজনীয় স্থানে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া এই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং দেওয়া হবে, সেখানে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হলে এই বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”

সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ডা. সায়েবা আক্তার, সাবেক সচিব এম এম রেজা, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমায়ের আফিফ।

কমিশনের আরও দুই সদস্য হলেন ডা. নায়লা জামান খান ও ডা. মোজাহেরুল হক।

প্রতিবেদনটি গৃহীত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্যখাতের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্যখাতে সংস্কারে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৫:৩৯:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

 

স্বাস্থ্যখাতের দীর্ঘদিনের সমস্যাগুলোর সমাধানে গঠিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলোকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ্য, সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

সোমবার (৫ মে) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলে তিনি এই মন্তব্য করেন। প্রধান উপদেষ্টা এ প্রতিবেদনকে “যুগান্তকারী পদক্ষেপ” হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

তিনি বলেন, “স্বাস্থ্যখাতের সংকট অনেক দিনের। এই প্রতিবেদন বাস্তবায়নের মাধ্যমে যদি আমরা কার্যকর সমাধান দিতে পারি, তাহলে সেটি একটি ঐতিহাসিক অর্জন হবে।”

প্রফেসর ইউনূস স্বাস্থ্যখাতের অন্যতম প্রধান সমস্যা হিসেবে ডাক্তার সংকটের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “অনেক ক্ষেত্রে ডাক্তারের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়, আবার কোনো স্থানে ডাক্তার থাকলেও প্রয়োজনীয় স্থানে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতির স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন।”

তিনি আরও বলেন, “চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া এই সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং দেওয়া হবে, সেখানে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে হলে এই বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।”

সংস্কার কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা হলেন বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ডা. সায়েবা আক্তার, সাবেক সচিব এম এম রেজা, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমায়ের আফিফ।

কমিশনের আরও দুই সদস্য হলেন ডা. নায়লা জামান খান ও ডা. মোজাহেরুল হক।

প্রতিবেদনটি গৃহীত হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে অগ্রাধিকারভিত্তিক বাস্তবায়ন পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, এই উদ্যোগ দেশের স্বাস্থ্যখাতের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনবে।