ঢাকা ১১:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় বাধা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • / 41

ছবি সংগৃহীত

 

মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ, নিরাপত্তার অভাব ও নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা না থাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রবিবার (৪ মে) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আঞ্চলিক নিরাপত্তায় কৌশলগত প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের এখনো কোনো কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে রাখাইনে সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দফা ঢল বাংলাদেশে নামে। এর আগেও কয়েক দফায় প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।”

প্রথম দিকে সংকট মোকাবেলায় দ্বিপক্ষীয় কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “আমি তখনই সতর্ক করেছিলাম যে এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। আজ তা প্রমাণিত হয়েছে একজন রোহিঙ্গাকেও এখনো ফেরত পাঠানো যায়নি,” বলেন উপদেষ্টা।

তিনি দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়াকে ‘বৃথা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা কূটনীতি পরিহার করতে পারি না, তবে একথা মানতে হবে যে শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যথেষ্ট নয়।”

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই প্রত্যাবাসন অবশ্যই স্বেচ্ছায় হতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। এমন কোনো স্থানে তারা ফিরবে না, যেখানে জীবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত।”

মায়ানমারে গণতন্ত্র কখনো ছিল এমন ধারণা নাকচ করে তিনি বলেন, “এমনকি অং সান সু চির আমলেও দেশটি আধা-সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। আর বর্তমানে মায়ানমার এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “মায়ানমারের স্থায়ী সমাধানের জন্য দেশটির তিনটি প্রধান পক্ষ সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি এবং ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)-কে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। বিশেষ করে আরাকান আর্মি, যারা রাখাইন রাজ্যের বড় একটি অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করছে।”

তিনি রোহিঙ্গা সংকটে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সক্রিয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশের একক প্রচেষ্টার বাইরে একটি ব্যাপক কৌশল প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মায়ানমারের গৃহযুদ্ধ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বড় বাধা : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০৭:১০:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

 

মায়ানমারে চলমান গৃহযুদ্ধ, নিরাপত্তার অভাব ও নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা না থাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।

রবিবার (৪ মে) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: আঞ্চলিক নিরাপত্তায় কৌশলগত প্রভাব ও ভবিষ্যৎ পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকটের এখনো কোনো কার্যকর সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে রাখাইনে সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দফা ঢল বাংলাদেশে নামে। এর আগেও কয়েক দফায় প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিল।”

প্রথম দিকে সংকট মোকাবেলায় দ্বিপক্ষীয় কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দেওয়া সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। “আমি তখনই সতর্ক করেছিলাম যে এই ধরনের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে। আজ তা প্রমাণিত হয়েছে একজন রোহিঙ্গাকেও এখনো ফেরত পাঠানো যায়নি,” বলেন উপদেষ্টা।

তিনি দ্বিপক্ষীয় প্রক্রিয়াকে ‘বৃথা’ আখ্যা দিয়ে বলেন, “আমরা কূটনীতি পরিহার করতে পারি না, তবে একথা মানতে হবে যে শুধু দ্বিপক্ষীয় আলোচনা যথেষ্ট নয়।”

প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, “এই প্রত্যাবাসন অবশ্যই স্বেচ্ছায় হতে হবে এবং তাদের নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিকত্বের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। এমন কোনো স্থানে তারা ফিরবে না, যেখানে জীবন ঝুঁকিপূর্ণ এবং মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত।”

মায়ানমারে গণতন্ত্র কখনো ছিল এমন ধারণা নাকচ করে তিনি বলেন, “এমনকি অং সান সু চির আমলেও দেশটি আধা-সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। আর বর্তমানে মায়ানমার এক ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের মধ্যে রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “মায়ানমারের স্থায়ী সমাধানের জন্য দেশটির তিনটি প্রধান পক্ষ সামরিক জান্তা, আরাকান আর্মি এবং ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)-কে আলোচনায় অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। বিশেষ করে আরাকান আর্মি, যারা রাখাইন রাজ্যের বড় একটি অংশ এখন নিয়ন্ত্রণ করছে।”

তিনি রোহিঙ্গা সংকটে আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সক্রিয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং বাংলাদেশের একক প্রচেষ্টার বাইরে একটি ব্যাপক কৌশল প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন।