আজ থেকে শুরু হচ্ছে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’, প্রত্যয় বৈষম্যহীন বাংলাদেশের

- আপডেট সময় ১১:১৮:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
- / ৭ বার পড়া হয়েছে
আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) থেকে শুরু হচ্ছে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০২৫’। তিনদিনব্যাপী এই কর্মসূচির মূল প্রতিপাদ্য “আমার পুলিশ আমার দেশ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ”। রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশ্যে ভাষণ প্রদানের মাধ্যমে এই সপ্তাহের উদ্বোধন করবেন। এ সময় তিনি কৃতিত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন পুলিশ সদস্যকে পদক পরিয়ে দেবেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ সপ্তাহকে ঘিরে এরই মধ্যে বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটে তৎপরতা শুরু হয়েছে। প্রতিটি ইউনিট নিজ নিজ চ্যালেঞ্জ ও সাফল্যের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করবে। জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে এবং জনআস্থা ফেরাতে পুলিশ বাহিনী লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো, গবেষণা জোরদারসহ একাধিক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর পুলিশ অডিটোরিয়ামে শুরু হবে বিভিন্ন ইউনিটের প্রেজেন্টেশন। সকাল সোয়া ৯টায় সিআইডি, সকাল ১০টায় র্যাব এবং এরপর পর্যায়ক্রমে এসবি, ট্যুরিস্ট পুলিশ, পিবিআই ও এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) নিজ নিজ কার্যক্রম তুলে ধরবে। একই দিনে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবদের মতবিনিময়ও অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) অনুষ্ঠিত হবে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ব্যাজ প্রদান অনুষ্ঠান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সম্মেলন। একইদিনে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময়, পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মরত পুলিশ কর্মকর্তাদের পুনর্মিলনী এবং নৈশভোজের আয়োজন রয়েছে।
পুলিশ সপ্তাহের সমাপনী দিন শুক্রবার (২ মে) অনুষ্ঠিত হবে বার্ষিক পুনাক (পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি) সমাবেশ ও আনন্দমেলা। এদিন পুনাক স্টলের পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের অনুষ্ঠানসূচি।
এছাড়া এবারের পুলিশ সপ্তাহে পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করা হবে। এর মধ্যে রয়েছে স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন, সাধারণ মানুষের জন্য পৃথক কমপ্লেইন সেল, অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি প্রতিষ্ঠা, এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা চালু, স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠনসহ মোট ছয় দফা দাবি।
যে ছয় দাবি পেশ করবে পুলিশ
১. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন করে জনসাধারণের জন্য কমপ্লেইন সেল ও পুলিশের জন্য অভিযোগ নিষ্পত্তি কমিটি গঠন।
২. এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ ভাতা।
৩. স্বতন্ত্র সাইবার ইউনিট গঠন।
৪. পুলিশের বিভাগীয় হাসপাতালে জনবল বৃদ্ধি ও আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সরবরাহসহ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা।
৫. একই পদে দীর্ঘদিন চাকরি করার পর অবসরকালে সুপারনিউমারারি পদোন্নতি দেয়া (কনস্টেবল থেকে ইন্সপেক্টর পর্যন্ত)।
৬. মরদেহ দাফন/ সৎকারের সুবিধার্থে পুলিশের অনুকূলে আর্থিক বরাদ্দ দেয়া।
পুলিশ সূত্র বলছে, এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়িত হলে পুলিশ বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং জনগণের আস্থা আরও দৃঢ় হবে।