ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
শতাব্দীর আতঙ্ক ‘নর’ইস্টার’ ঝড় নিয়ে প্রকাশিত হলো চাঞ্চল্যকর সব সত্য ভালুকায় গৃহবধূ ও দুই সন্তান হত্যা: প্রধান আসামি দেবর নজরুল গ্রেপ্তার উদ্ভিদের গোপন শব্দে সাড়া দেয় পতঙ্গ ও প্রাণীরা: গবেষণায় উদ্ভিদের ভাষার রহস্য উদঘাটন বাংলাদেশের জাহাজ ও বন্দর খাতে বিনিয়োগে সিঙ্গাপুরকে আহ্বান: নৌ উপদেষ্টা শামীম ওসমান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের ২ মামলা, সন্তানদের সম্পদ বিবরণীর নোটিশ সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ও জোট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ প্রতিষ্ঠায় একমত হয়েছে: আলী রীয়াজ অপরাধী যেন কেউ ছাড়া না পায়, কঠোরভাবে দমন করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার জনগণের সেন্টিমেন্ট বুঝে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন দিন: কুড়িগ্রামে রিজভী মাদরাসা আমাদের ঐতিহ্যের ধারক, এটিকে টিকিয়ে রাখতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস কখনো ‘জাতীয় সংস্কারক’ উপাধির স্বীকৃতি চান নি: প্রেস উইং

অপহরণকাণ্ডে খাগড়াছড়িতে যৌথবাহিনীর উদ্ধার অভিযান, আটক ৭

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • / 19

ছবি সংগৃহীত

 

খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোররাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ইউপিডিএফের (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) একটি গোপন আস্তানায় হানা দিয়ে ৭ জনকে আটক করে বাহিনী।

যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে অভিযান চালানো হয় পাহাড়ি ওই এলাকায়। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক, গুলি, অস্ত্রাংশ, ইউপিডিএফের সাংগঠনিক নথিপত্র, বিভিন্ন বই ও খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এসব সামগ্রী সংগঠনটির সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রমাণ বহন করে বলে জানায় বাহিনী।

গত ১৬ এপ্রিল বুধবার খাগড়াছড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে পাঁচজন চবি শিক্ষার্থী এবং আরও একজন অপহৃত হন। অপহৃতদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নেতাও রয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ইউপিডিএফকে দায়ী করে।

অপহরণের ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা হুমকি ও শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দফায় দফায় আলোচনা ও তদন্ত শুরু হয়।

পাহাড়ি অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে সংগঠনটি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।

অভিযানে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত সামগ্রীর বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। প্রশাসন জানিয়েছে, অপহৃতদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

অপহরণকাণ্ডে খাগড়াছড়িতে যৌথবাহিনীর উদ্ধার অভিযান, আটক ৭

আপডেট সময় ০১:৪৩:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

 

খাগড়াছড়িতে অপহৃত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পাঁচ শিক্ষার্থীসহ ছয়জনকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়েছে যৌথবাহিনী। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোররাতে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার ভাইবোনছড়া ইউনিয়নের পূর্ণ চন্দ্র কার্বারী পাড়ায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে ইউপিডিএফের (ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) একটি গোপন আস্তানায় হানা দিয়ে ৭ জনকে আটক করে বাহিনী।

যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোরে অভিযান চালানো হয় পাহাড়ি ওই এলাকায়। অভিযানের সময় সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ সামরিক পোশাক, গুলি, অস্ত্রাংশ, ইউপিডিএফের সাংগঠনিক নথিপত্র, বিভিন্ন বই ও খাদ্যসামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এসব সামগ্রী সংগঠনটির সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রমাণ বহন করে বলে জানায় বাহিনী।

গত ১৬ এপ্রিল বুধবার খাগড়াছড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ফেরার পথে পাঁচজন চবি শিক্ষার্থী এবং আরও একজন অপহৃত হন। অপহৃতদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) নেতাও রয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিদ্বন্দ্বী সংগঠন জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) ইউপিডিএফকে দায়ী করে।

অপহরণের ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাহাড়ি ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তা হুমকি ও শিক্ষার্থীদের উদ্বেগের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে দফায় দফায় আলোচনা ও তদন্ত শুরু হয়।

পাহাড়ি অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় সশস্ত্র সংগঠন ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন সময় অপহরণ, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। তবে সংগঠনটি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে।

অভিযানে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং উদ্ধারকৃত সামগ্রীর বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। প্রশাসন জানিয়েছে, অপহৃতদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত থাকবে।