ঢাকা ১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • / 40

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে চীন সরকার ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সহায়তা দেশের স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

তিনি জানান, চীন সরকার ঢাকার ধামরাইতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল স্থাপনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। এই দুটি হাসপাতাল দেশের মানুষের চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশে চীনের এই পদক্ষেপ এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হতে পারে। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে চীনের জন্য একটি বড় বাজার তৈরি হতে পারে।”

এসময় তিনি আরও জানান, সদ্য চীন সফর করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর সফল হয়েছে বলে চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। তার এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ সহজেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে পারবে। ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে নীতিগত আলোচনা শুরু হয়েছে।”

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়। চীনের ইউনান প্রদেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, ওষুধ, শিক্ষা পদ্ধতি ও চিকিৎসা প্রশিক্ষণের নানা বিষয় উঠে আসে।

বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে এই ধরনের যৌথ উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চীন সরকারের এই সহায়তা ও আগ্রহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।

নিউজটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দিচ্ছে চীন: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

আপডেট সময় ০২:০৯:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে চীন সরকার ১৩৮.২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এই সহায়তা দেশের স্বাস্থ্য খাতে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম।

তিনি জানান, চীন সরকার ঢাকার ধামরাইতে পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ১,০০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক হাসপাতাল স্থাপনের ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। এই দুটি হাসপাতাল দেশের মানুষের চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ইউনান শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের বিকাশে চীনের এই পদক্ষেপ এক যুগান্তকারী দৃষ্টান্ত হতে পারে। এ দেশে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে চীনের জন্য একটি বড় বাজার তৈরি হতে পারে।”

এসময় তিনি আরও জানান, সদ্য চীন সফর করা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সফর সফল হয়েছে বলে চীনা রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন। তার এই সফরের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য উপদেষ্টা বলেন, “ভবিষ্যতে বাংলাদেশের মানুষ সহজেই উন্নত চিকিৎসার জন্য চীনে যেতে পারবে। ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে নীতিগত আলোচনা শুরু হয়েছে।”

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-চীন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন দিক আলোচিত হয়। চীনের ইউনান প্রদেশের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে স্বাস্থ্য প্রযুক্তি, ওষুধ, শিক্ষা পদ্ধতি ও চিকিৎসা প্রশিক্ষণের নানা বিষয় উঠে আসে।

বাংলাদেশের তরুণ চিকিৎসক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য এটি একটি বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে এই ধরনের যৌথ উদ্যোগ আরও বিস্তৃত হবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

চীন সরকারের এই সহায়তা ও আগ্রহ বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আধুনিকায়ন এবং আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে বিশ্লেষকদের অভিমত।