০৯:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৭:৫১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 56

ছবি সংগৃহীত

 

নারী অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে গঠিত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে।

শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের প্রধান শিরিন পারভীন হক এবং সদস্য মাহীন সুলতান, সারা হোসেন, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তার, ডা. হালিদা হানুম আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম, নিরুপা দেওয়ান, ফেরদৌসী সুলতানা ও নিশিতা জামান নিহা।

বিজ্ঞাপন

নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ, সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং নীতিগত সংস্কারের লক্ষ্যে কমিশনটি কাজ করে আসছিল। জানা গেছে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারী অধিকার সংস্থা ‘নারীপক্ষ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিশন গঠন করে সরকার। গঠনের পরই কমিশনকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গবেষণা, পরামর্শ এবং সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা তথ্য, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত, এবং আইনগত পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে নারীর নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় নারীর পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে কমিশনের সদস্যরা তাদের কাজের প্রেক্ষাপট ও মূল সুপারিশগুলোর দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের কাজের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “একটি উন্নত সমাজ গঠনে নারী অধিকার রক্ষার পথনকশা নির্ধারণে এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

প্রতিবেদনটি সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদনকে নারীর সার্বিক উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয় :

নিউজটি শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টার কাছে নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা

আপডেট সময় ০৭:৫১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

 

নারী অধিকার ও উন্নয়ন নিয়ে গঠিত নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে।

শনিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন কমিশনের সদস্যরা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের প্রধান শিরিন পারভীন হক এবং সদস্য মাহীন সুলতান, সারা হোসেন, ফৌজিয়া করিম ফিরোজ, কল্পনা আক্তার, ডা. হালিদা হানুম আক্তার, সুমাইয়া ইসলাম, নিরুপা দেওয়ান, ফেরদৌসী সুলতানা ও নিশিতা জামান নিহা।

বিজ্ঞাপন

নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ, সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এবং নীতিগত সংস্কারের লক্ষ্যে কমিশনটি কাজ করে আসছিল। জানা গেছে, ২০২৪ সালের নভেম্বরে নারী অধিকার সংস্থা ‘নারীপক্ষ’-এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য শিরিন পারভীন হককে প্রধান করে ১০ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিশন গঠন করে সরকার। গঠনের পরই কমিশনকে ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গবেষণা, পরামর্শ এবং সুপারিশসহ একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রস্তুত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা তথ্য, সংশ্লিষ্ট পক্ষের মতামত, এবং আইনগত পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে নারীর নিরাপত্তা, কর্মক্ষেত্রে সমান সুযোগ, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষায় নারীর পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বেশ কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে কমিশনের সদস্যরা তাদের কাজের প্রেক্ষাপট ও মূল সুপারিশগুলোর দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস কমিশনের কাজের প্রশংসা করেন এবং বলেন, “একটি উন্নত সমাজ গঠনে নারী অধিকার রক্ষার পথনকশা নির্ধারণে এই প্রতিবেদন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”

প্রতিবেদনটি সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।

নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদনকে নারীর সার্বিক উন্নয়নের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।