ঢাকা ১২:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গা/জা/য় অনির্দিষ্টকাল সেনা রাখার ঘোষণা ই*স*রা*য়ে*লের মানুষের ঢলে মুখরিত ৪০০ বছরের প্রাচীন কুলিকুন্ডার শুঁটকি মেলা দাবি আদায়ে দেশজুড়ে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিডিআর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতেই হবে: প্রধান উপদেষ্টা উন্মুক্ত স্থানে বর্জ্য পোড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : হুঁশিয়ারি পরিবেশ উপদেষ্টার ই*স*রা*য়ে*লের ভয়াবহ হামলা গা/জা/য় আরো ২৫ ফিলিস্তিনি নিহত দেশীয় মাছের সুরক্ষা ও উৎপাদন বাড়াতে জোর দিলেন মৎস্য উপদেষ্টা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলা শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে: প্রসিকিউটর আগামী রমজানের আগে নির্বাচন চায় জামায়াত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তহবিল বন্ধের প্রস্তাব দিল ট্রাম্প প্রশাসন 

বাংলা নববর্ষে ড্রোন শোতে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করলো বাংলাদেশ ও চীন সরকার। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর এক ‘ড্রোন শো’। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এ শো শহীদদের স্মরণ এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের এক অনন্য বার্তা বহন করে।

চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রায় ১৫ মিনিটের এই প্রদর্শনীতে ২,৬০০ ড্রোন ব্যবহার করে মোট ১২টি থিম ফুটিয়ে তোলা হয়। শো’র সূচনা হয় একটি পাখির খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে আসার অনুপম চিত্র দিয়ে, যা শোষণ ও শাসনের গণ্ডি পেরিয়ে স্বাধীনতা ও নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

এই দৃশ্যের মাধ্যমে উঠে আসে ‘৩৬ জুলাই’ অভ্যুত্থানের চেতনাকে, যেটি এখন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। এরপর ড্রোন ভাস্কর্যে প্রদর্শিত হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহসী শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের প্রতীকী মুহূর্ত যিনি বুক চিতিয়ে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন।

পরবর্তী ধাপে ছিল শহীদ মীর মুগ্ধের জলবাহক দৃশ্য যিনি বিক্ষোভকারীদের পিপাসা মেটাতে পানির বোতল হাতে ছুটে গিয়েছিলেন। সেই হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তটি ড্রোনের আলোয় ফুটে ওঠে ‘পানি লাগবে, পানি’ বার্তায়।

শো’তে ছিল ‘২৪-এর বীর’, ‘পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম’ এবং ‘বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের বার্তা’ও। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের সংগ্রামের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের চিত্রও জায়গা পায় এই প্রদর্শনীতে।

এই ড্রোন শো পরিচালনায় নিয়োজিত ছিলেন চীনের ১৩ জন অভিজ্ঞ পাইলট এবং একটি ছয় সদস্যের প্রযুক্তিগত দল। তারা ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আসছিলেন।

ড্রোন শো শুধু বিনোদন নয়, এটি ছিল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, স্বাধীনতার প্রতীকী প্রকাশ এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের উজ্জ্বল নিদর্শন। জনসাধারণের উপস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, প্রযুক্তি ও ইতিহাসের এই যুগলবন্দী স্মরণীয় হয়ে থাকবে বহুদিন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
৫১০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা নববর্ষে ড্রোন শোতে গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা

আপডেট সময় ১০:৪৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫

 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে স্মরণীয় করে রাখতে ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন করলো বাংলাদেশ ও চীন সরকার। সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হয় মনোমুগ্ধকর এক ‘ড্রোন শো’। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এ শো শহীদদের স্মরণ এবং বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের এক অনন্য বার্তা বহন করে।

চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় প্রায় ১৫ মিনিটের এই প্রদর্শনীতে ২,৬০০ ড্রোন ব্যবহার করে মোট ১২টি থিম ফুটিয়ে তোলা হয়। শো’র সূচনা হয় একটি পাখির খাঁচা ভেঙে বেরিয়ে আসার অনুপম চিত্র দিয়ে, যা শোষণ ও শাসনের গণ্ডি পেরিয়ে স্বাধীনতা ও নতুন বাংলাদেশের দিকে অগ্রযাত্রার প্রতীক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়।

এই দৃশ্যের মাধ্যমে উঠে আসে ‘৩৬ জুলাই’ অভ্যুত্থানের চেতনাকে, যেটি এখন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় হিসেবে পরিচিত। এরপর ড্রোন ভাস্কর্যে প্রদর্শিত হয় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাহসী শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদের প্রতীকী মুহূর্ত যিনি বুক চিতিয়ে পুলিশের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন।

পরবর্তী ধাপে ছিল শহীদ মীর মুগ্ধের জলবাহক দৃশ্য যিনি বিক্ষোভকারীদের পিপাসা মেটাতে পানির বোতল হাতে ছুটে গিয়েছিলেন। সেই হৃদয়ছোঁয়া মুহূর্তটি ড্রোনের আলোয় ফুটে ওঠে ‘পানি লাগবে, পানি’ বার্তায়।

শো’তে ছিল ‘২৪-এর বীর’, ‘পায়রার খাঁচা ভাঙা থিম’ এবং ‘বাংলাদেশ-চীন বন্ধুত্বের বার্তা’ও। বাংলাদেশের জনগণের পক্ষ থেকে প্যালেস্টাইনের সংগ্রামের প্রতি একাত্মতা প্রকাশের চিত্রও জায়গা পায় এই প্রদর্শনীতে।

এই ড্রোন শো পরিচালনায় নিয়োজিত ছিলেন চীনের ১৩ জন অভিজ্ঞ পাইলট এবং একটি ছয় সদস্যের প্রযুক্তিগত দল। তারা ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই এই বিশাল আয়োজনের প্রস্তুতি নিয়ে আসছিলেন।

ড্রোন শো শুধু বিনোদন নয়, এটি ছিল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা, স্বাধীনতার প্রতীকী প্রকাশ এবং দুই দেশের বন্ধুত্বের উজ্জ্বল নিদর্শন। জনসাধারণের উপস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া প্রমাণ করে, প্রযুক্তি ও ইতিহাসের এই যুগলবন্দী স্মরণীয় হয়ে থাকবে বহুদিন।