০৭:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

নববর্ষে দেশবাসীকে সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান সেনাপ্রধানের

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৮:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 115

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক হৃদয়ছোঁয়া উপস্থিতি জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানীর এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে গিয়ে তিনি মন্দির প্রাঙ্গণের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন এবং শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত জনসাধারণকে।

বিজ্ঞাপন

সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, নববর্ষ উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সেনাপ্রধান। মন্দিরের প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য পরিবেশনার, যেখানে দেশীয় সংস্কৃতির নানা রঙে মঞ্চ সাজানো হয়। সুর, নৃত্য আর কল্পনাশক্তির মিশেলে উপস্থাপিত এই অনুষ্ঠান দেশের ঐতিহ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “বাংলা নববর্ষ শুধু আনন্দের নয়, এটা আমাদের ঐক্য, সংস্কৃতি আর অসাম্প্রদায়িক চেতনারও উৎসব।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে সহাবস্থান করে এসেছে। এই মেলবন্ধনই আমাদের জাতীয় শক্তি। তাই নববর্ষের এই শুভক্ষণে আমাদের শপথ নিতে হবে জাতীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুত করার।”

সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর শুধু এক শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার উপস্থিতি মন্দির প্রাঙ্গণে এক ধরণের নিরাপত্তা, আন্তরিকতা ও সম্মিলিত বার্তা বহন করেছে। নববর্ষের মতো জাতীয় উৎসবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন অংশগ্রহণ দেশের প্রতিটি নাগরিকের মনে উদারতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা পৌঁছে দেয়।

বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রভাতে এই আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উপস্থিতি একদিকে যেমন জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছে, তেমনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মিলেমিশে বাঁচার শিক্ষা দিয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সেনাপ্রধানের এ পদচারণা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, উৎসবের রঙ শুধু আনন্দ নয়, সেটি একতা ও সহনশীলতার প্রতিচ্ছবি।

নিউজটি শেয়ার করুন

নববর্ষে দেশবাসীকে সম্প্রীতি ও জাতীয় ঐক্যের আহ্বান সেনাপ্রধানের

আপডেট সময় ০৮:৪৪:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

 

বাংলা নববর্ষ ১৪৩২-কে বরণ করে নিতে সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে এক হৃদয়ছোঁয়া উপস্থিতি জানান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। নববর্ষের প্রথম দিন সকালে রাজধানীর এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে গিয়ে তিনি মন্দির প্রাঙ্গণের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপভোগ করেন এবং শুভেচ্ছা জানান উপস্থিত জনসাধারণকে।

বিজ্ঞাপন

সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, নববর্ষ উপলক্ষে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন সেনাপ্রধান। মন্দিরের প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য পরিবেশনার, যেখানে দেশীয় সংস্কৃতির নানা রঙে মঞ্চ সাজানো হয়। সুর, নৃত্য আর কল্পনাশক্তির মিশেলে উপস্থাপিত এই অনুষ্ঠান দেশের ঐতিহ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতীক হয়ে ওঠে।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, “বাংলা নববর্ষ শুধু আনন্দের নয়, এটা আমাদের ঐক্য, সংস্কৃতি আর অসাম্প্রদায়িক চেতনারও উৎসব।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ যুগ যুগ ধরে সহাবস্থান করে এসেছে। এই মেলবন্ধনই আমাদের জাতীয় শক্তি। তাই নববর্ষের এই শুভক্ষণে আমাদের শপথ নিতে হবে জাতীয় ঐক্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও মজবুত করার।”

সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফর শুধু এক শুভেচ্ছা বিনিময়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। তার উপস্থিতি মন্দির প্রাঙ্গণে এক ধরণের নিরাপত্তা, আন্তরিকতা ও সম্মিলিত বার্তা বহন করেছে। নববর্ষের মতো জাতীয় উৎসবে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন অংশগ্রহণ দেশের প্রতিটি নাগরিকের মনে উদারতা ও সৌহার্দ্যের বার্তা পৌঁছে দেয়।

বাংলা নববর্ষের প্রথম প্রভাতে এই আন্তরিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উপস্থিতি একদিকে যেমন জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিয়েছে, তেমনি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মিলেমিশে বাঁচার শিক্ষা দিয়েছে। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে সেনাপ্রধানের এ পদচারণা আমাদের মনে করিয়ে দেয়, উৎসবের রঙ শুধু আনন্দ নয়, সেটি একতা ও সহনশীলতার প্রতিচ্ছবি।