০৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
‘জুলাই যোদ্ধা’ শনাক্তে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু কুয়াকাটার হোটেলে ঝুলন্ত মরদেহ, স্বামী পরিচয়ে থাকা যুবকের খোঁজ নেই যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার তালিকা বৃদ্ধি: যোগ হচ্ছে ফিলিস্তিনসহ আরও ছয় দেশ ‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে ফিরছি’: তারেক রহমান হাদিকে গুলি: প্রধান আসামি ফয়সালের বাবা–মা গ্রেপ্তার, অস্ত্র উদ্ধার সেই মুসলিমকে ‘জাতীয় হিরো’ আখ্যা দিয়ে যা বললেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে সন্ধ্যায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা জনসমাগমের মধ্যে দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতা খুন জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টা ও রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা গাজায় যুদ্ধবিরতি মানতে ইসরায়েলকে হোয়াইট হাউসের সতর্কবার্তা, নেতানিয়াহুকে সরাসরি বার্তা

আনন্দ শোভাযাত্রায় বিদেশিদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ, নেচে-গেয়ে মেতে উঠলেন তারাও

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫
  • / 78

ছবি সংগৃহীত

 

গান, কবিতা আর আনন্দময় শোভাযাত্রায় নতুন সূর্যকে স্বাগত জানিয়ে উদযাপন করা হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে গোটা দেশ, আর সেই উৎসবে পিছিয়ে নেই বিদেশিরাও।

১৪ এপ্রিল সোমবার, ভোরের প্রথম আলোয় রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন দিয়ে নববর্ষের সূচনা হয়। ভোরের মিষ্টি আলোয় মঞ্চে ওঠে শিল্পীরা তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় রবি ঠাকুর, নজরুল আর লালনের গান। এবারের বার্তা ছিল, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ যার মর্মবাণী হলো অন্ধকার, হিংসা আর বিভেদের অবসান ঘটিয়ে মানবিক ও সমপ্রীতির পথ বেছে নেওয়া।

বিজ্ঞাপন

রমনার এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে যেমন ছিল বাঙালির নিজস্ব আবেগ, তেমনি ছিল বিশ্বমানবতার ডাকও। আয়োজকদের কণ্ঠে উঠে আসে ফিলিস্তিনসহ নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার।

সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় বর্ষবরণ শোভাযাত্রা প্রতিপাদ্য ছিল ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এতে অংশ নেয় চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাধারণ মানুষ এবং নানা বয়সি উৎসুক জনতা। রঙিন মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বিশালাকৃতির বাঘ, পাখি ও মাছের মডেল ছিল চোখ ধাঁধানো।

বিদেশিরাও পিছিয়ে ছিলেন না। জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি থেকে আসা শিক্ষার্থী ও পর্যটকেরা বাঙালির ঐতিহ্যিক সাজে লাল-সাদা শাড়ি, পাঞ্জাবি আর গলায় বাঁশির ঝঙ্কারে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তারা এই বর্ণিল আয়োজনে মুগ্ধ হয়ে বাঙালি সংস্কৃতির প্রশংসা করেন।

পুরনো দিনের গ্লানি আর বিভেদ ভুলে জাতি এক নতুন প্রত্যয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। কবিতায়, গানে, শোভাযাত্রায়, মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে শান্তি, সম্প্রীতি আর আশার বাণী। বাংলা নববর্ষ কেবল একটি উৎসব নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে জাতির চেতনার এক প্রেরণাদায়ক প্রকাশ।

এভাবেই বৈচিত্র্য আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে বাঙালি জাতি বরণ করল নতুন বাংলা বছর ১৪৩২।

নিউজটি শেয়ার করুন

আনন্দ শোভাযাত্রায় বিদেশিদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ, নেচে-গেয়ে মেতে উঠলেন তারাও

আপডেট সময় ১১:৫০:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৫

 

গান, কবিতা আর আনন্দময় শোভাযাত্রায় নতুন সূর্যকে স্বাগত জানিয়ে উদযাপন করা হলো বাংলা নববর্ষ ১৪৩২। ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে গোটা দেশ, আর সেই উৎসবে পিছিয়ে নেই বিদেশিরাও।

১৪ এপ্রিল সোমবার, ভোরের প্রথম আলোয় রমনার বটমূলে ছায়ানটের আয়োজন দিয়ে নববর্ষের সূচনা হয়। ভোরের মিষ্টি আলোয় মঞ্চে ওঠে শিল্পীরা তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় রবি ঠাকুর, নজরুল আর লালনের গান। এবারের বার্তা ছিল, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’ যার মর্মবাণী হলো অন্ধকার, হিংসা আর বিভেদের অবসান ঘটিয়ে মানবিক ও সমপ্রীতির পথ বেছে নেওয়া।

বিজ্ঞাপন

রমনার এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে যেমন ছিল বাঙালির নিজস্ব আবেগ, তেমনি ছিল বিশ্বমানবতার ডাকও। আয়োজকদের কণ্ঠে উঠে আসে ফিলিস্তিনসহ নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার।

সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় বর্ষবরণ শোভাযাত্রা প্রতিপাদ্য ছিল ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এতে অংশ নেয় চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সাধারণ মানুষ এবং নানা বয়সি উৎসুক জনতা। রঙিন মুখোশ, পাপেট, বাঁশের তৈরি বিশালাকৃতির বাঘ, পাখি ও মাছের মডেল ছিল চোখ ধাঁধানো।

বিদেশিরাও পিছিয়ে ছিলেন না। জাপান, ফ্রান্স, রাশিয়া, জার্মানি থেকে আসা শিক্ষার্থী ও পর্যটকেরা বাঙালির ঐতিহ্যিক সাজে লাল-সাদা শাড়ি, পাঞ্জাবি আর গলায় বাঁশির ঝঙ্কারে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। তারা এই বর্ণিল আয়োজনে মুগ্ধ হয়ে বাঙালি সংস্কৃতির প্রশংসা করেন।

পুরনো দিনের গ্লানি আর বিভেদ ভুলে জাতি এক নতুন প্রত্যয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে। কবিতায়, গানে, শোভাযাত্রায়, মানুষের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়েছে শান্তি, সম্প্রীতি আর আশার বাণী। বাংলা নববর্ষ কেবল একটি উৎসব নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে জাতির চেতনার এক প্রেরণাদায়ক প্রকাশ।

এভাবেই বৈচিত্র্য আর ঐতিহ্যের সংমিশ্রণে বাঙালি জাতি বরণ করল নতুন বাংলা বছর ১৪৩২।