সংস্কার কম চাইলে ডিসেম্বরেই হতে পারে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

- আপডেট সময় ০৮:১৮:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
- / 29
রাষ্ট্রীয় সংস্কার প্রক্রিয়া যদি সীমিত পর্যায়ে হয়, তাহলে আগামী ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলগুলো যদি বৃহত্তর পরিসরে সংস্কারে সম্মত হয়, তাহলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে আগামী বছরের জুনে। এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৯ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যুক্তরাজ্যের বাণিজ্য দূত ব্যারোনেস রোজি উইন্টারটনের সঙ্গে এক বৈঠকে এ মন্তব্য করেন তিনি। বৈঠকে উভয় পক্ষই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদারের প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “এটি আমাদের জন্য একটি রূপান্তরময় মুহূর্ত। আমরা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন করে গড়ে তোলার পাশাপাশি, নীতি নির্ধারণের ক্ষেত্রেও অগ্রাধিকার পুনর্বিন্যাসে কাজ করছি।”
ব্যারোনেস উইন্টারটন বাংলাদেশের চলমান সংস্কার উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের, এবং আমরা এই সংস্কারমূলক গতি নিয়ে আশাবাদী।”
তিনি আরও জানান, যুক্তরাজ্য সরকার এ সংস্কার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি তিনি সাংবিধানিক সংস্কার কর্মসূচির প্রধান অধ্যাপক আলী রিয়াজের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, “সংস্কারের গতি ও গভীরতার ওপর নির্ভর করছে নির্বাচনের সময়সূচি। রাজনৈতিক দলগুলো যদি সীমিত সংস্কারে একমত হয়, তাহলে ডিসেম্বরেই নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। আর যদি বৃহত্তর কাঠামোগত সংস্কারকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়, তাহলে সময় লাগবে, সেক্ষেত্রে নির্বাচন আগামী জুনে হতে পারে।”
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ।
রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এ বৈঠক শুধু নির্বাচন নয়, বরং ভবিষ্যতের শাসন কাঠামো ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সম্পর্কেও গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করছে।