০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক। ফিফার শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হলেন ট্রাম্প ব্রাজিলে অবতরণের পর আগুনে পুড়ল এয়ারবাস এ-৩২০, অল্পের জন্য রক্ষা পেল যাত্রীরা পাক-আফগান সীমান্তে তীব্র গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে

দীর্ঘ এক দশক পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 67

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বেলোচ। আগামী ১৭ এপ্রিল তাঁর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই সফরকে ঘিরে দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।

পাকিস্তান হাইকমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘ফরেন সেক্রেটারি লেভেল কনসালটেশন’ অর্থাৎ দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শ বৈঠক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পথ খুলে যেতে পারে।

হাইকমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় রচিত হতে পারে।”

এদিকে কূটনৈতিক মহলে আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সম্ভাব্য ঢাকা সফরের খবর। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিল মাসেই ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। সফরের তারিখ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম ঢাকা সফর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক দশকের বেশি সময় পর এমন উচ্চপর্যায়ের সফর দুই দেশের মধ্যকার অতীতের জটিলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে চলার সুযোগ তৈরি করতে পারে।

যদিও উভয় দেশ এখনো একাধিক ইস্যুতে মতানৈক্যে রয়েছে, তবে এই সফর কেবল সম্পর্ক মেরামতের নয়, বরং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকেও এক নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই সফরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে এমনটাই আশা কূটনৈতিক মহলের।

নিউজটি শেয়ার করুন

দীর্ঘ এক দশক পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বেলোচ। আগামী ১৭ এপ্রিল তাঁর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই সফরকে ঘিরে দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।

পাকিস্তান হাইকমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘ফরেন সেক্রেটারি লেভেল কনসালটেশন’ অর্থাৎ দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শ বৈঠক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পথ খুলে যেতে পারে।

হাইকমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় রচিত হতে পারে।”

এদিকে কূটনৈতিক মহলে আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সম্ভাব্য ঢাকা সফরের খবর। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিল মাসেই ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। সফরের তারিখ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম ঢাকা সফর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক দশকের বেশি সময় পর এমন উচ্চপর্যায়ের সফর দুই দেশের মধ্যকার অতীতের জটিলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে চলার সুযোগ তৈরি করতে পারে।

যদিও উভয় দেশ এখনো একাধিক ইস্যুতে মতানৈক্যে রয়েছে, তবে এই সফর কেবল সম্পর্ক মেরামতের নয়, বরং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকেও এক নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই সফরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে এমনটাই আশা কূটনৈতিক মহলের।