ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দীর্ঘ এক দশক পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫
  • / 16

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বেলোচ। আগামী ১৭ এপ্রিল তাঁর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই সফরকে ঘিরে দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।

পাকিস্তান হাইকমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘ফরেন সেক্রেটারি লেভেল কনসালটেশন’ অর্থাৎ দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শ বৈঠক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পথ খুলে যেতে পারে।

হাইকমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় রচিত হতে পারে।”

এদিকে কূটনৈতিক মহলে আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সম্ভাব্য ঢাকা সফরের খবর। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিল মাসেই ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। সফরের তারিখ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম ঢাকা সফর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক দশকের বেশি সময় পর এমন উচ্চপর্যায়ের সফর দুই দেশের মধ্যকার অতীতের জটিলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে চলার সুযোগ তৈরি করতে পারে।

যদিও উভয় দেশ এখনো একাধিক ইস্যুতে মতানৈক্যে রয়েছে, তবে এই সফর কেবল সম্পর্ক মেরামতের নয়, বরং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকেও এক নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই সফরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে এমনটাই আশা কূটনৈতিক মহলের।

নিউজটি শেয়ার করুন

দীর্ঘ এক দশক পর দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব

আপডেট সময় ০৫:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ এপ্রিল ২০২৫

 

দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচনে ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বেলোচ। আগামী ১৭ এপ্রিল তাঁর ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এই সফরকে ঘিরে দুই দেশের কূটনৈতিক অঙ্গনে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা।

পাকিস্তান হাইকমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘ফরেন সেক্রেটারি লেভেল কনসালটেশন’ অর্থাৎ দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের রাজনৈতিক পরামর্শ বৈঠক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসিম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর আনুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

বৈঠকে দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত বিভিন্ন ইস্যু, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হবে। কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে নতুন করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের পথ খুলে যেতে পারে।

হাইকমিশনের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “দীর্ঘ বিরতির পর এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর দুই দেশের সম্পর্ক পুনর্গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আলোচনার মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন অধ্যায় রচিত হতে পারে।”

এদিকে কূটনৈতিক মহলে আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সম্ভাব্য ঢাকা সফরের খবর। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চলতি এপ্রিল মাসেই ইসহাক দার ঢাকায় আসছেন। সফরের তারিখ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের পর কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম ঢাকা সফর। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এক দশকের বেশি সময় পর এমন উচ্চপর্যায়ের সফর দুই দেশের মধ্যকার অতীতের জটিলতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে চলার সুযোগ তৈরি করতে পারে।

যদিও উভয় দেশ এখনো একাধিক ইস্যুতে মতানৈক্যে রয়েছে, তবে এই সফর কেবল সম্পর্ক মেরামতের নয়, বরং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিকেও এক নতুন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

এই সফরের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার ভূরাজনীতিতে এক নতুন মাত্রা যোগ হতে যাচ্ছে এমনটাই আশা কূটনৈতিক মহলের।