ঢাকা ০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কিংস্টনে ২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৩-০ সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানে ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত বেড়ে ১১১, নিখোঁজ বহু পর্যটক শতকোটি টাকার কর ফাঁকিতে ইউনাইটেড গ্রুপ, জড়িত শীর্ষ পরিচালকেরা লর্ডসে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড বিচার বিভাগে স্বাধীনতার জন্য প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন ও সংস্কার জরুরি: প্রধান বিচারপতি বান্দরবানে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আটক ৫ টেক্সটাইল খাতের করুণ বাস্তবতা: বন্ধ হচ্ছে কারখানা, বিনিয়োগে ধস গাজায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৭৮ মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার ৫০ দিনের মধ্যে যদি যুদ্ধবিরতির চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর শতভাগ শুল্ক: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

হাতিরঝিলে বিলাসবহুল গাড়ি থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা জব্দ: গ্রেপ্তার চার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৪৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 43

ছবি সংগৃহীত

 

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা হাতিরঝিলে গোপন অভিযানে একটি প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এই অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে তারা সবাই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে ডিএনসি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল রানা (৩৪), আল-মামুন (৩২), মোহাম্মদ ফারুক ওরফে ওমর ফারুক (৪৬) এবং ফারুকের স্ত্রী তানিয়া (৩২)।

ডিএনসির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে রাজধানীজুড়ে বিলাসবহুল গাড়িতে করে সরবরাহ করছিলেন। বাইং হাউস ও আবাসন ব্যবসার আড়ালে গড়ে তুলেছিলেন এক বিশাল মাদক নেটওয়ার্ক।

ডিএনসির উপপরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, তিন মাস আগেই এই চক্র সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। একাধিক গোয়েন্দা অভিযানের পর শুক্রবার দিবাগত রাতে হাতিরঝিল এলাকায় চালানো হয় সফল অভিযান।

বলা হয়, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে চক্রটি বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারের পরিকল্পনা করছিল। হুন্দাই ব্র্যান্ডের একটি বিলাসবহুল গাড়ির পাদানির নিচে বিশেষ প্যানেল তৈরি করে তাতে ইয়াবা লুকানো হয়। প্যানেলটি বাইরে থেকে বোঝার উপায় ছিল না, যতক্ষণ না গোয়েন্দা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেটি খোলা হয়।

ডিএনসি জানায়, গাড়িটি আটকের সময় সাত কিলোমিটার পর্যন্ত ধাওয়া করা হয়। তল্লাশিতে প্রাথমিকভাবে কিছু না পেলেও সন্দেহজনক অংশ খুলতেই বেরিয়ে আসে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রমনা সার্কেলের পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

ডিএনসির ভাষ্য, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ চক্রটি ইতিপূর্বেও নজরদারিতে ছিল, তবে আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। এবার ঈদের আগেই ইয়াবার বড় চালান আটক করায় ঢাকার বড় একটি মাদক সরবরাহ বন্ধ হলো বলে মনে করছে ডিএনসি।

নিউজটি শেয়ার করুন

হাতিরঝিলে বিলাসবহুল গাড়ি থেকে এক লাখ ৬০ হাজার ইয়াবা জব্দ: গ্রেপ্তার চার

আপডেট সময় ১১:৪৫:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা হাতিরঝিলে গোপন অভিযানে একটি প্রাইভেট কার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) এই অভিযান পরিচালনা করে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজনকে তারা সবাই একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের সদস্য বলে জানিয়েছে ডিএনসি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নজরুল ইসলাম ওরফে সোহেল রানা (৩৪), আল-মামুন (৩২), মোহাম্মদ ফারুক ওরফে ওমর ফারুক (৪৬) এবং ফারুকের স্ত্রী তানিয়া (৩২)।

ডিএনসির দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই তারা টেকনাফ থেকে ইয়াবা এনে রাজধানীজুড়ে বিলাসবহুল গাড়িতে করে সরবরাহ করছিলেন। বাইং হাউস ও আবাসন ব্যবসার আড়ালে গড়ে তুলেছিলেন এক বিশাল মাদক নেটওয়ার্ক।

ডিএনসির উপপরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, তিন মাস আগেই এই চক্র সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। একাধিক গোয়েন্দা অভিযানের পর শুক্রবার দিবাগত রাতে হাতিরঝিল এলাকায় চালানো হয় সফল অভিযান।

বলা হয়, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে চক্রটি বিপুল পরিমাণ ইয়াবা পাচারের পরিকল্পনা করছিল। হুন্দাই ব্র্যান্ডের একটি বিলাসবহুল গাড়ির পাদানির নিচে বিশেষ প্যানেল তৈরি করে তাতে ইয়াবা লুকানো হয়। প্যানেলটি বাইরে থেকে বোঝার উপায় ছিল না, যতক্ষণ না গোয়েন্দা সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেটি খোলা হয়।

ডিএনসি জানায়, গাড়িটি আটকের সময় সাত কিলোমিটার পর্যন্ত ধাওয়া করা হয়। তল্লাশিতে প্রাথমিকভাবে কিছু না পেলেও সন্দেহজনক অংশ খুলতেই বেরিয়ে আসে এক লাখ ৬০ হাজার পিস ইয়াবা।

গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে রমনা সার্কেলের পরিদর্শক লোকমান হোসেন বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন।

ডিএনসির ভাষ্য, গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ চক্রটি ইতিপূর্বেও নজরদারিতে ছিল, তবে আগের অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। এবার ঈদের আগেই ইয়াবার বড় চালান আটক করায় ঢাকার বড় একটি মাদক সরবরাহ বন্ধ হলো বলে মনে করছে ডিএনসি।