১০:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ময়মনসিংহে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের হানা, বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন ও ট্যাং জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 82

ছবি: সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভেজাল স্যালাইন ও খাবার ট্যাং তৈরির তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে এক কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারখিলা ও গোদারিয়া গ্রামে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রথমে আনোয়ারখিলা এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে নকল ও অনুমোদনহীন স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল স্যালাইন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। অভিযানে কারখানার মালিক খসরু তালুকদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গোদারিয়া গ্রামে আরও দুটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং ও বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য ও পানীয় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে জানায় প্রশাসন। অভিযানের সময় কারখানাগুলো সিলগালা করা হয় এবং জব্দকৃত ভেজাল সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে প্রশাসন এমন অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নকল ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব ভেজাল পণ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভয় পাবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ময়মনসিংহে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের হানা, বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন ও ট্যাং জব্দ

আপডেট সময় ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভেজাল স্যালাইন ও খাবার ট্যাং তৈরির তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে এক কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারখিলা ও গোদারিয়া গ্রামে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রথমে আনোয়ারখিলা এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে নকল ও অনুমোদনহীন স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল স্যালাইন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। অভিযানে কারখানার মালিক খসরু তালুকদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গোদারিয়া গ্রামে আরও দুটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং ও বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য ও পানীয় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে জানায় প্রশাসন। অভিযানের সময় কারখানাগুলো সিলগালা করা হয় এবং জব্দকৃত ভেজাল সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে প্রশাসন এমন অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নকল ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব ভেজাল পণ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভয় পাবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ হবে।