০১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ময়মনসিংহে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের হানা, বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন ও ট্যাং জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 133

ছবি: সংগৃহীত

 

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভেজাল স্যালাইন ও খাবার ট্যাং তৈরির তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে এক কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারখিলা ও গোদারিয়া গ্রামে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রথমে আনোয়ারখিলা এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে নকল ও অনুমোদনহীন স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল স্যালাইন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। অভিযানে কারখানার মালিক খসরু তালুকদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গোদারিয়া গ্রামে আরও দুটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং ও বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য ও পানীয় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে জানায় প্রশাসন। অভিযানের সময় কারখানাগুলো সিলগালা করা হয় এবং জব্দকৃত ভেজাল সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে প্রশাসন এমন অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নকল ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব ভেজাল পণ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভয় পাবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ময়মনসিংহে অবৈধ কারখানায় প্রশাসনের হানা, বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন ও ট্যাং জব্দ

আপডেট সময় ০২:০০:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

ময়মনসিংহের ফুলপুরে ভেজাল স্যালাইন ও খাবার ট্যাং তৈরির তিনটি কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল পণ্য জব্দ ও ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনী, উপজেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। অভিযানে এক কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার আনোয়ারখিলা ও গোদারিয়া গ্রামে এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান ফারুক। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)-এর তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়।

বিজ্ঞাপন

প্রথমে আনোয়ারখিলা এলাকায় একটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, সেখানে নকল ও অনুমোদনহীন স্যালাইন তৈরি করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর এসব ভেজাল স্যালাইন স্থানীয় বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছিল। অভিযানে কারখানার মালিক খসরু তালুকদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

এরপর গোদারিয়া গ্রামে আরও দুটি অবৈধ কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যালাইন, ট্যাং ও বিভিন্ন ভেজাল খাদ্য ও পানীয় তৈরির উপকরণ জব্দ করা হয়। এসব পণ্য জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ হুমকি সৃষ্টি করতে পারে বলে জানায় প্রশাসন। অভিযানের সময় কারখানাগুলো সিলগালা করা হয় এবং জব্দকৃত ভেজাল সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।

অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা বিবেচনায় রেখে প্রশাসন এমন অবৈধ কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে। নকল ও ভেজাল খাদ্য উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।

স্থানীয়রা প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এসব ভেজাল পণ্য মানুষের জীবন বিপন্ন করছে। এমন অভিযান নিয়মিত চালানো হলে অসাধু ব্যবসায়ীরা ভয় পাবে এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষা করা সহজ হবে।