১১:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

ফেনী সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫
  • / 188

ছবি সংগৃহীত

 

 

ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (২ জুলাই) ভোরে ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল এই অভিযান পরিচালনা করে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ মোবাইল ডিসপ্লে ভর্তি কাটুন এবং কয়েকটি গরু ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা এসব মালামাল ও গরুগুলো উদ্ধার করে জব্দ করেন।

ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মোশাররফ হোসেন জানান, জব্দকৃত এসব মালামাল ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। বর্তমানে এসব পণ্য কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় মোবাইলের ডিসপ্লে ও গরু চোরাকারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে এসব পণ্য পাচার করে আসছিল। তবে বিজিবির নিয়মিত নজরদারি ও তৎপরতায় সম্প্রতি এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

বিজিবি কর্মকর্তারা মনে করেন, সীমান্তবর্তী মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা থাকলে চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে স্থানীয়দের নিয়মিতভাবে সচেতন করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির এই অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে স্থানীয়রা। সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পণ্য পাচার রোধে এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ফেনী সীমান্তে কোটি টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ

আপডেট সময় ০৩:৫৬:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫

 

 

ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলার সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার (২ জুলাই) ভোরে ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের একটি টহল দল এই অভিযান পরিচালনা করে।

বিজ্ঞাপন

বিজিবি সূত্রে জানা যায়, টহল দলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ মোবাইল ডিসপ্লে ভর্তি কাটুন এবং কয়েকটি গরু ফেলে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি সদস্যরা এসব মালামাল ও গরুগুলো উদ্ধার করে জব্দ করেন।

ফেনীস্থ ৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মোশাররফ হোসেন জানান, জব্দকৃত এসব মালামাল ছাগলনাইয়া ও পরশুরাম সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। পণ্যের আনুমানিক বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ১ কোটি ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। বর্তমানে এসব পণ্য কাস্টমসে জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, সীমান্তে চোরাচালান, মাদক পাচার ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি সর্বদা তৎপর রয়েছে। নিয়মিত অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে চোরাচালান প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় মোবাইলের ডিসপ্লে ও গরু চোরাকারবারিরা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকা ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে এসব পণ্য পাচার করে আসছিল। তবে বিজিবির নিয়মিত নজরদারি ও তৎপরতায় সম্প্রতি এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড অনেকাংশেই নিয়ন্ত্রণে এসেছে।

বিজিবি কর্মকর্তারা মনে করেন, সীমান্তবর্তী মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা থাকলে চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব। এ বিষয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে স্থানীয়দের নিয়মিতভাবে সচেতন করার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবির এই অভিযানকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে স্থানীয়রা। সীমান্ত এলাকায় অবৈধ পণ্য পাচার রোধে এই ধরনের অভিযান আরও জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন তারা।