০৫:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড মোতায়েনের হুঁশিয়ারি রেলপথ উপদেষ্টার

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:৩৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫
  • / 48

ছবি: সংগৃহীত

 

শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু এলাকায় নদীভাঙন রোধে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধ না করলে বাঁধ দিয়েও সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

বুধবার (১১ জুন) বেলা ১২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, “জেলা প্রশাসককে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে—শুধু ড্রেজার চালানো শ্রমিকদের আটক নয়, বরং ড্রেজার যন্ত্রাংশ জব্দ করতে হবে এবং মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। জনস্বার্থের পরিপন্থীভাবে কেউ যদি অবৈধ ড্রেজার চালাতে অনুমতি দিয়ে থাকেন, সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন অনেক সময় শ্রমিকদের ধরে ছেড়ে দেয়। এতে কোনো লাভ হয় না। ভাঙন প্রতিরোধে মূলত যন্ত্রপাতি জব্দ এবং মালিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।”

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ তারেক হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদীর আশপাশে অবৈধভাবে ড্রেজার চালানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে প্রতি বর্ষায় নদীভাঙনের আশঙ্কা বাড়ছে। তবে এবার উপদেষ্টাদের সরেজমিন পরিদর্শন এবং কঠোর অবস্থানের ফলে জনমনে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে।

সরকারি উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে পদ্মা সেতু সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষায় নতুন পথ খুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

অবৈধ ড্রেজিং বন্ধে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ড মোতায়েনের হুঁশিয়ারি রেলপথ উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৪:৩৫:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ জুন ২০২৫

 

শরীয়তপুরের পদ্মা সেতু এলাকায় নদীভাঙন রোধে অবৈধ ড্রেজার বন্ধে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব কর্মকাণ্ড দ্রুত বন্ধ না করলে বাঁধ দিয়েও সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।

বুধবার (১১ জুন) বেলা ১২টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানান, “জেলা প্রশাসককে স্পষ্ট নির্দেশনা দেয়া হয়েছে—শুধু ড্রেজার চালানো শ্রমিকদের আটক নয়, বরং ড্রেজার যন্ত্রাংশ জব্দ করতে হবে এবং মালিকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। জনস্বার্থের পরিপন্থীভাবে কেউ যদি অবৈধ ড্রেজার চালাতে অনুমতি দিয়ে থাকেন, সে যেই হোক, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন অনেক সময় শ্রমিকদের ধরে ছেড়ে দেয়। এতে কোনো লাভ হয় না। ভাঙন প্রতিরোধে মূলত যন্ত্রপাতি জব্দ এবং মালিকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে জরুরি।”

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন, শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মাদ তারেক হাসানসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এদিকে, এলাকাবাসীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে পদ্মা নদীর আশপাশে অবৈধভাবে ড্রেজার চালানো হলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে প্রতি বর্ষায় নদীভাঙনের আশঙ্কা বাড়ছে। তবে এবার উপদেষ্টাদের সরেজমিন পরিদর্শন এবং কঠোর অবস্থানের ফলে জনমনে কিছুটা আশার সঞ্চার হয়েছে।

সরকারি উদ্যোগ কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে পদ্মা সেতু সংলগ্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকা রক্ষায় নতুন পথ খুলবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।