ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কিংস্টনে ২৭ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ৩-০ সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া পাকিস্তানে ভয়াবহ বৃষ্টি ও বন্যায় নিহত বেড়ে ১১১, নিখোঁজ বহু পর্যটক শতকোটি টাকার কর ফাঁকিতে ইউনাইটেড গ্রুপ, জড়িত শীর্ষ পরিচালকেরা লর্ডসে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াইয়ে ভারতকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড বিচার বিভাগে স্বাধীনতার জন্য প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন ও সংস্কার জরুরি: প্রধান বিচারপতি বান্দরবানে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন, আটক ৫ টেক্সটাইল খাতের করুণ বাস্তবতা: বন্ধ হচ্ছে কারখানা, বিনিয়োগে ধস গাজায় ত্রাণপ্রার্থীদের ওপর ইসরায়েলি হামলায় শিশুসহ নিহত ৭৮ মিটফোর্ডে ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি নান্নু গ্রেপ্তার ৫০ দিনের মধ্যে যদি যুদ্ধবিরতির চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর শতভাগ শুল্ক: ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি

ইতিহাসে প্রথম, রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হাইকোর্টের রায়ে: প্রধান বিচারপতি

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
  • / 21

ছবি সংগৃহীত

 

রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে হাইকোর্টের রায়ে একটি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ঘটনা এই প্রথম—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে ছিলেন আরও তিন বিচারপতি।

এইদিন আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়, কারণ সেদিন কোনো পক্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না। তবে পরে মামলাটি পুনরুজ্জীবনের (রিস্টোর) জন্য আবেদন করা হয়।

২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আদালত দেরি মাফ করে আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেন। সেই শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও শিশির মনির।

পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয় এবং তা চলমান রয়েছে।

এই মামলার গুরুত্ব উল্লেখ করে আদালত বলেছে, দেশের আইনি ইতিহাসে এটি এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। কেননা, একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি সাধারণত নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত হলেও এই প্রথম আদালতের রায়ে সেটি বাতিল হয়।

এ বিষয়ে আগ্রহী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এবং আদালতের ভূমিকায় এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

আদালত শুনানি চলাকালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। আপাতত, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারা দেশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইতিহাসে প্রথম, রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল হাইকোর্টের রায়ে: প্রধান বিচারপতি

আপডেট সময় ০২:৪০:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫

 

রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা হিসেবে হাইকোর্টের রায়ে একটি রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ঘটনা এই প্রথম—এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি। শুনানিকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চে ছিলেন আরও তিন বিচারপতি।

এইদিন আদালতে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিশির মনির। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলটি ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়, কারণ সেদিন কোনো পক্ষ আদালতে হাজির ছিলেন না। তবে পরে মামলাটি পুনরুজ্জীবনের (রিস্টোর) জন্য আবেদন করা হয়।

২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর আদালত দেরি মাফ করে আবেদনটি গ্রহণ করেন এবং মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করেন। সেই শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও শিশির মনির।

পরবর্তীতে, ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর থেকে আপিলের শুনানি শুরু হয় এবং তা চলমান রয়েছে।

এই মামলার গুরুত্ব উল্লেখ করে আদালত বলেছে, দেশের আইনি ইতিহাসে এটি এক ঐতিহাসিক অধ্যায়। কেননা, একটি রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি সাধারণত নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ারভুক্ত হলেও এই প্রথম আদালতের রায়ে সেটি বাতিল হয়।

এ বিষয়ে আগ্রহী রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় এবং আদালতের ভূমিকায় এক নতুন দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।

আদালত শুনানি চলাকালে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ দিতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা। আপাতত, বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে এবং সর্বোচ্চ আদালতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সারা দেশ।