ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
লন্ডনে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য বৈঠক সোমবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে হামলায় বিএনপি নেতার মৃত্যু ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র স্বীকৃতি দেওয়া থেকে সরে দাঁড়াল ইউরোপের দুই প্রভাবশালী দেশ ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত ঢাকা থেকে বিদায় নিয়েছে ভুটান দল, রাতে আসছে সিঙ্গাপুরের ৪২ সদস্য বরগুনায় কোরবানির দিনে পশু কাটতে গিয়ে আহত ২০ জন ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন আশার আলো দেখছে বিএনপি, ড. ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ নতুন আশার দ্বার খুলেছে: মির্জা ফখরুল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০২:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫
  • / 26

ছবি সংগৃহীত

 

 

বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার প্রধানদের সদ্য অনুষ্ঠিত বৈঠককে ‘নতুন সম্ভাবনার দ্বার’ হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ দুই দেশের জনগণের জন্য আশাব্যঞ্জক বার্তা নিয়ে এসেছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই বৈঠকটি শুধু কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। বর্তমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কিছুটা তিক্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। এই সংলাপের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে আমরা মনে করি। সম্পর্কের উত্তাপ কমিয়ে আনার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা এবং সহযোগিতার নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে পারে এই আলোচনার মধ্য দিয়ে। মির্জা ফখরুল বলেন, “যতটুকু আমরা জেনেছি, দু’জন নেতাই আন্তরিকভাবে আলাপ করেছেন এবং উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল গঠনমূলক ও সমঝোতামূলক। এটা নিঃসন্দেহে দুই দেশের জনগণের উপকারে আসবে।”

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও এই বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে জাতীয় স্বার্থে যদি আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়, সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।”

ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতিশীলতা আনতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি নেতারা। সম্পর্কে নবতর গতি সৃষ্টির এই উদ্যোগকে বিএনপি ভবিষ্যতের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রার সূচনা হিসেবেই দেখছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের নতুন আশার আলো দেখছে বিএনপি, ড. ইউনূস ও মোদির সাক্ষাৎ নতুন আশার দ্বার খুলেছে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় ০২:৪৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

 

 

বাংলাদেশ ও ভারতের সরকার প্রধানদের সদ্য অনুষ্ঠিত বৈঠককে ‘নতুন সম্ভাবনার দ্বার’ হিসেবে দেখছে বিএনপি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সংলাপ দুই দেশের জনগণের জন্য আশাব্যঞ্জক বার্তা নিয়ে এসেছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “এই বৈঠকটি শুধু কূটনৈতিক সৌজন্য নয়, বরং ভবিষ্যতের একটি ইতিবাচক বার্তা বহন করে। বর্তমান বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক কিছুটা তিক্ততার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। এই সংলাপের মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছে বলে আমরা মনে করি। সম্পর্কের উত্তাপ কমিয়ে আনার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।”

বিএনপি মনে করে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা এবং সহযোগিতার নতুন এক অধ্যায় শুরু হতে পারে এই আলোচনার মধ্য দিয়ে। মির্জা ফখরুল বলেন, “যতটুকু আমরা জেনেছি, দু’জন নেতাই আন্তরিকভাবে আলাপ করেছেন এবং উভয়ের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল গঠনমূলক ও সমঝোতামূলক। এটা নিঃসন্দেহে দুই দেশের জনগণের উপকারে আসবে।”

এদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসও এই বৈঠককে ইতিবাচক হিসেবে দেখার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে জাতীয় স্বার্থে যদি আঞ্চলিক সহযোগিতার পরিবেশ তৈরি হয়, সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়।”

ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের সক্রিয় কূটনৈতিক তৎপরতা দুই দেশের সম্পর্কে নতুন গতিশীলতা আনতে পারে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিএনপি নেতারা। সম্পর্কে নবতর গতি সৃষ্টির এই উদ্যোগকে বিএনপি ভবিষ্যতের কূটনৈতিক অগ্রযাত্রার সূচনা হিসেবেই দেখছে।