কম্বোডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তা স্থগিত, চীনের কূটনৈতিক পদক্ষেপে নতুন মাত্রা
কম্বোডিয়ায় শিশুদের পুষ্টি ও শিক্ষা উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়তা প্রকল্প সম্প্রতি হঠাৎ করেই বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত দেশটির উন্নয়ন কর্মসূচিতে একটি বড় শূন্যতা সৃষ্টি করেছে।
কিন্তু এই ফাঁক গলে দ্রুত এগিয়ে এসেছে চীন। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীন জানিয়েছে, তারা একই ধরণের প্রকল্পে অর্থায়ন করবে এবং কম্বোডিয়ার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নে পাশে থাকবে।
চীনের এই পদক্ষেপ কেবল মানবিক সহায়তা নয়, এটি দেশটির কূটনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ‘সফট পাওয়ার’ বাড়াতে চীন দিন দিন আরও সক্রিয় হয়ে উঠছে। পশ্চিমা শক্তিগুলোর সৃষ্ট শূন্যতা চীন এখন কৌশলে পূরণ করছে এবং এক্ষেত্রে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
চীন ইতোমধ্যে আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অবকাঠামো নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবার কম্বোডিয়াকেও সেই পরিসরে টেনে আনা হচ্ছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে এই পরিবর্তন নতুন এক প্রতিযোগিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, যেখানে উন্নয়ন সহায়তাকে ব্যবহার করা হচ্ছে প্রভাব বিস্তারের হাতিয়ার হিসেবে।
কম্বোডিয়ার সরকারও চীনের এই সহায়তাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে এবং জানিয়েছে, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকুক, সেটাই তাদের মূল লক্ষ্য।
তবে বিশ্লেষকরা সতর্ক করে দিচ্ছেন এই ধরনের সহায়তা প্রকল্পের আড়ালে বৃহৎ শক্তিগুলোর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী, তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।
এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করলো, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বন্ধুত্ব ও সাহায্য সব সময় নিছক মানবিক নয় প্রায়ই তা বৃহৎ কৌশলের অংশ।