ঢাকা ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ মার্চ ২০২৫, ১৩ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আকাশে বিরল বিস্ফোরণের দৃশ্য: আজ দেখা যেতে পারে ‘নোভা’র চমক গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সজ্জিত সুইসাইড’ বা আত্মঘাতী ড্রোনের সফল পরীক্ষা তদারকি করেলন কিম জং উন: নতুন সামরিক রূপে উত্তর কোরিয়া ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশে ক্ষুব্ধ দিল্লি ঈদ উৎসবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া: উত্তরে প্রস্তুতি চলছে বর্ণিল ঈদ মিছিলের- জানালেন আসিফ মাহমুদ দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা ঐতিহ্য আর ভক্তির মিলনমেলা—তিতাস নদীতে গঙ্গাস্নান ও লোকজ উৎসব ভারত থেকে আসল আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, মোট আমদানির পরিমাণ ছাড়াল প্রায় ৩ লাখ টন এশিয়ার অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে যৌথ রোডম্যাপের আহ্বান ড. ইউনূসের ঈদের ৯ দিনের ছুটি, তবুও স্থবির হবে না অর্থনীতি: ড. সালেহউদ্দিন

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোপে ৭০’র বেশি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

চীনের প্রযুক্তি খাতে নতুন করে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সরকার এবার ৭০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, যার ফলে এসব প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনও প্রযুক্তি, পণ্য বা সফটওয়্যার আমদানি করতে পারবে না। মূলত চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), হাইপারসনিক অস্ত্র এবং সামরিক প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নকে লক্ষ্য করেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রযুক্তি খাতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের ফলে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি খাত যেমন চিপ উৎপাদন ও উন্নত অস্ত্র তৈরিতে বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুধু চীনা প্রতিষ্ঠানই নয়, তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরও অন্তত ১০টি কোম্পানিও। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান চীনের সামরিক উন্নয়নকে সহায়তা করছে বা অবৈধভাবে প্রযুক্তি হস্তান্তর করছে।

মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা এমন কোনও প্রযুক্তি সরবরাহ করব না, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।”

চীন এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা প্রয়োজনীয় জবাব দিতে প্রস্তুত।

বিশ্ব রাজনীতিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই প্রযুক্তিগত ঠাণ্ডা লড়াই ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। এতে শুধু দুই দেশের দ্বন্দ্বই নয়, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি বাজারেও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই নিষেধাজ্ঞা কেবল রাজনৈতিক নয়, প্রযুক্তিগত আধিপত্য রক্ষার কৌশলের অংশ বলেও মনে করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০১:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
৫১৩ বার পড়া হয়েছে

মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোপে ৭০’র বেশি চীনা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান

আপডেট সময় ০১:৫৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

চীনের প্রযুক্তি খাতে নতুন করে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সরকার এবার ৭০টিরও বেশি চীনা প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে, যার ফলে এসব প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনও প্রযুক্তি, পণ্য বা সফটওয়্যার আমদানি করতে পারবে না। মূলত চীনের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), হাইপারসনিক অস্ত্র এবং সামরিক প্রযুক্তির দ্রুত উন্নয়নকে লক্ষ্য করেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এটি ট্রাম্প প্রশাসনের প্রযুক্তি খাতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে কঠোর রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ পদক্ষেপ। এই সিদ্ধান্তের ফলে চীনের উচ্চপ্রযুক্তি খাত যেমন চিপ উৎপাদন ও উন্নত অস্ত্র তৈরিতে বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শুধু চীনা প্রতিষ্ঠানই নয়, তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আরও অন্তত ১০টি কোম্পানিও। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান চীনের সামরিক উন্নয়নকে সহায়তা করছে বা অবৈধভাবে প্রযুক্তি হস্তান্তর করছে।

মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “আমরা এমন কোনও প্রযুক্তি সরবরাহ করব না, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে বা প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।”

চীন এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্র ইচ্ছাকৃতভাবে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের পথে বাধা সৃষ্টি করছে এবং বৈশ্বিক বাজারে প্রতিযোগিতার পরিবেশ নষ্ট করছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা প্রয়োজনীয় জবাব দিতে প্রস্তুত।

বিশ্ব রাজনীতিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই প্রযুক্তিগত ঠাণ্ডা লড়াই ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠছে। এতে শুধু দুই দেশের দ্বন্দ্বই নয়, বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যবস্থা এবং প্রযুক্তি বাজারেও বড় ধরনের প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এই নিষেধাজ্ঞা কেবল রাজনৈতিক নয়, প্রযুক্তিগত আধিপত্য রক্ষার কৌশলের অংশ বলেও মনে করা হচ্ছে।