ঢাকা ০২:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫, ১৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
আকাশে বিরল বিস্ফোরণের দৃশ্য: আজ দেখা যেতে পারে ‘নোভা’র চমক গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক: ট্রাম্পের ঘোষণা ঘিরে বৈশ্বিক উদ্বেগ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় সজ্জিত সুইসাইড’ বা আত্মঘাতী ড্রোনের সফল পরীক্ষা তদারকি করেলন কিম জং উন: নতুন সামরিক রূপে উত্তর কোরিয়া ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার সুপারিশে ক্ষুব্ধ দিল্লি ঈদ উৎসবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া: উত্তরে প্রস্তুতি চলছে বর্ণিল ঈদ মিছিলের- জানালেন আসিফ মাহমুদ দুর্নীতির মামলায় জি কে শামীমের সাড়ে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেয়েছেন মা, বাজেয়াপ্ত ২৯৭ কোটি টাকা ঐতিহ্য আর ভক্তির মিলনমেলা—তিতাস নদীতে গঙ্গাস্নান ও লোকজ উৎসব ভারত থেকে আসল আরও ৯ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চাল, মোট আমদানির পরিমাণ ছাড়াল প্রায় ৩ লাখ টন এশিয়ার অভিন্ন ভবিষ্যৎ গঠনে যৌথ রোডম্যাপের আহ্বান ড. ইউনূসের ঈদের ৯ দিনের ছুটি, তবুও স্থবির হবে না অর্থনীতি: ড. সালেহউদ্দিন

সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুকাশেঙ্কো

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো নতুন মেয়াদে শপথ নিয়েছেন, যা তার জন্য সপ্তমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মিনস্কের প্যালেস অব ইন্ডিপেন্ডেন্সের সেরিমোনিয়াল হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১১০০ জনের বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। লুকাশেঙ্কো শপথ নেওয়ার আগে বেলারুশের জাতীয় পতাকা এবং প্রেসিডেন্টের পতাকা হলের ভেতরে আনা হয়। পরে, তিনি সংবিধানের ওপর ডান হাত রেখে শপথ গ্রহণ করেন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান তাকে আনুষ্ঠানিক সনদ প্রদান করেন।

লুকাশেঙ্কো ২৬ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫১ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কমিশন ৩ ফেব্রুয়ারি এক সভায় নির্বাচনের ফলাফল অনুমোদন করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেলারুশ স্বাধীনতা লাভ করে এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৯৯৪ সালে জয়ী হন লুকাশেঙ্কো। এরপর থেকে তিনি প্রতি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসছেন।
বেলারুশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৫ বছর। ফলে, স্বাধীনতা লাভের পর গত ৩৩ বছরের মধ্যে ৩০ বছর তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের পদে রয়েছেন। সদ্যসম্পন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে তার মেয়াদ আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ল।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক ভালো নয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিরোধী নেত্রী এসভেতলানা তিখানোভস্কায়া কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নও সমর্থন করেছিল, কিন্তু লুকাশেঙ্কো এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

১৯৯৯ সাল থেকে বেলারুশ রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে, এবং গত বছর মস্কো ও মিনস্ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার আওতায় বেলারুশের ভূখণ্ডে সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দেয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১২:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫
৫০৯ বার পড়া হয়েছে

সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুকাশেঙ্কো

আপডেট সময় ১২:৪২:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫

 

বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো নতুন মেয়াদে শপথ নিয়েছেন, যা তার জন্য সপ্তমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মিনস্কের প্যালেস অব ইন্ডিপেন্ডেন্সের সেরিমোনিয়াল হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১১০০ জনের বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। লুকাশেঙ্কো শপথ নেওয়ার আগে বেলারুশের জাতীয় পতাকা এবং প্রেসিডেন্টের পতাকা হলের ভেতরে আনা হয়। পরে, তিনি সংবিধানের ওপর ডান হাত রেখে শপথ গ্রহণ করেন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান তাকে আনুষ্ঠানিক সনদ প্রদান করেন।

লুকাশেঙ্কো ২৬ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫১ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কমিশন ৩ ফেব্রুয়ারি এক সভায় নির্বাচনের ফলাফল অনুমোদন করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেলারুশ স্বাধীনতা লাভ করে এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৯৯৪ সালে জয়ী হন লুকাশেঙ্কো। এরপর থেকে তিনি প্রতি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসছেন।
বেলারুশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৫ বছর। ফলে, স্বাধীনতা লাভের পর গত ৩৩ বছরের মধ্যে ৩০ বছর তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের পদে রয়েছেন। সদ্যসম্পন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে তার মেয়াদ আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ল।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক ভালো নয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিরোধী নেত্রী এসভেতলানা তিখানোভস্কায়া কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নও সমর্থন করেছিল, কিন্তু লুকাশেঙ্কো এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

১৯৯৯ সাল থেকে বেলারুশ রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে, এবং গত বছর মস্কো ও মিনস্ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার আওতায় বেলারুশের ভূখণ্ডে সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দেয়।