সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন লুকাশেঙ্কো
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো নতুন মেয়াদে শপথ নিয়েছেন, যা তার জন্য সপ্তমবারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার ঘটনা। চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিনি প্রায় ৮৭ শতাংশ ভোট পেয়ে পুনরায় নির্বাচিত হন।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) মিনস্কের প্যালেস অব ইন্ডিপেন্ডেন্সের সেরিমোনিয়াল হলে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে ১১০০ জনের বেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন। লুকাশেঙ্কো শপথ নেওয়ার আগে বেলারুশের জাতীয় পতাকা এবং প্রেসিডেন্টের পতাকা হলের ভেতরে আনা হয়। পরে, তিনি সংবিধানের ওপর ডান হাত রেখে শপথ গ্রহণ করেন এবং জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান তাকে আনুষ্ঠানিক সনদ প্রদান করেন।
লুকাশেঙ্কো ২৬ জানুয়ারির নির্বাচনে ৫১ লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কমিশন ৩ ফেব্রুয়ারি এক সভায় নির্বাচনের ফলাফল অনুমোদন করে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর বেলারুশ স্বাধীনতা লাভ করে এবং প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ১৯৯৪ সালে জয়ী হন লুকাশেঙ্কো। এরপর থেকে তিনি প্রতি নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসছেন।
বেলারুশের সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৫ বছর। ফলে, স্বাধীনতা লাভের পর গত ৩৩ বছরের মধ্যে ৩০ বছর তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের পদে রয়েছেন। সদ্যসম্পন্ন নির্বাচনের মাধ্যমে তার মেয়াদ আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বাড়ল।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হওয়ায় লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক ভালো নয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে বিরোধী নেত্রী এসভেতলানা তিখানোভস্কায়া কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নও সমর্থন করেছিল, কিন্তু লুকাশেঙ্কো এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।
১৯৯৯ সাল থেকে বেলারুশ রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে, এবং গত বছর মস্কো ও মিনস্ক একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, যার আওতায় বেলারুশের ভূখণ্ডে সামরিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের অনুমতি দেয়।