২৮ এপ্রিল আগাম নির্বাচনের ডাক দিলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী কার্নি, ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াই

- আপডেট সময় ১০:২৭:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
কানাডার রাজনীতিতে বড়সড় নাটকীয় মোড়! সদ্য দায়িত্ব নেওয়া প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী ২৮ এপ্রিল দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত হবে আগাম নির্বাচন। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পদত্যাগের পর মধ্যপন্থী লিবারেল পার্টির নেতৃত্বে আসেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর কার্নি। যদিও জাতীয় নির্বাচনে এটি তাঁর প্রথম অংশগ্রহণ, তবে জনসভার ভাষণ আর আত্মবিশ্বাসে স্পষ্ট তিনি কোনোভাবেই নতুন খেলোয়াড় নন।
আগামী অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক মাস এগিয়ে এনে কার্নি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর প্রধান রাজনৈতিক ইস্যু ট্রাম্পের আগ্রাসন ও বাণিজ্য যুদ্ধ। জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, “ট্রাম্প আমাদের বিভক্ত করতে চায়, যেন আমেরিকা আমাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে। আমরা তা হতে দেব না।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা একটি গভীর সংকটে যেখানে আমাদের সার্বভৌমত্ব, অর্থনীতি এবং নিরাপত্তা হুমকির মুখে। আমার লক্ষ্য একটি শক্তিশালী, নিরাপদ কানাডা গড়ে তোলা।”
গত এক দশকের শাসনকালে লিবারেল সরকারের জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করলেও, দেশপ্রেম আর জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে কার্নি নতুন করে জনমনে আস্থা ফেরাতে পেরেছেন। এরই মধ্যে লিবারেলদের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। সিবিসি নিউজ পোল ট্র্যাকারের সর্বশেষ তথ্যে দেখা যায়, লিবারেল পার্টি পেয়েছে ৩৭.৫ শতাংশ জনসমর্থন, যেখানে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভদের সমর্থন ৩৭.১ শতাংশ।
পিয়েরে পইলিভর নেতৃত্বে কনজারভেটিভ পার্টি এবং জগমিত সিংয়ের নিউ ডেমোক্রেটিক পার্টিও লড়াইয়ে রয়েছে। তবে এবার কানাডার নির্বাচনে অভিবাসন বা জীবনযাত্রার ব্যয়ের মতো অভ্যন্তরীণ ইস্যু ছাপিয়ে মূল প্রশ্ন কে ট্রাম্পকে ঠেকাতে পারবে ভালোভাবে?
দেশের ৩৪৩টি আসনে ভোট হবে, যার ভিত্তিতে গঠিত হবে পরবর্তী সরকার। লড়াই জমে উঠেছে, আর কার্নি সেই লড়াইয়ে প্রথম ধাক্কাটা দিয়েছেন জোরালোভাবেই।