০৪:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫
শিরোনাম :
নিজামী-মীর কাসেম-সালাউদ্দিন কাদেরকে মিথ্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে: মির্জা ফখরুল ২০২৩ সাল থেকে ইসরায়েলের যুদ্ধের খরচ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫৯ থেকে ৬৭ বিলিয়ন ডলার। মার্কিন সেনা ও সিআইএ এজেন্টদের বহিষ্কারের চিন্তা কলম্বিয়া প্রেসিডেন্ট পেত্রোর পেন্টাগনের বড় চুক্তি পেল ট্রাম্পের ছেলের ড্রোন কোম্পানি কেন ট্রাম্প-পুতিনের বুদাপেস্ট বৈঠক বাতিল হলো? হুমকিতে বিশ্বব্যাপী পোলিও টিকাদান কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার হুঁশিয়ারি: “আমাদের হাতে ৫ হাজার রুশ ক্ষেপণাস্ত্র” সিইসির সঙ্গে বিএনপির বৈঠক বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, গভীর সমুদ্রে যাত্রা নিষেধ আতলেতিকোর জালে ১৪ মিনিটে ৪ গোল, দাপুটে জয়ে আর্সেনাল

নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে উত্তাল তেল আবিব, গাজায় হামলায় বন্দীদের জীবন শঙ্কায়

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৩:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্তের সরকারি সিদ্ধান্ত এবং গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরুর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার তেল আবিবের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। হাবিমা স্কয়ারে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকা হাতে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং গাজায় বন্দী ইসরায়েলিদের মুক্তির জন্য নতুন চুক্তির দাবি জানান।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার আগে সঠিক গোয়েন্দা তথ্য দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোনেন বারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, রোনেনের ওপর তাঁর আস্থা নেই। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই বরখাস্তের আদেশ আপাতত স্থগিত করেছে, তারপরও দেশের রাজনীতি ও জনমানসে এই সিদ্ধান্ত ঘূর্ণিঝড় তুলেছে।

বিজ্ঞাপন

সমালোচকেরা বলছেন, রোনেনকে বরখাস্তের মাধ্যমে নেতানিয়াহু দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবের নিচে এনে দিচ্ছেন, যা গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মোশে হাহারোনি বলেন, “নেতানিয়াহুই আজকের ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু। দীর্ঘ দুই দশক ধরে তিনি জনগণকে অগ্রাহ্য করে গেছেন।”

গাজায় সাম্প্রতিক হামলায় বন্দী ৫৯ ইসরায়েলির জীবন এখন ঝুঁকির মুখে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৪ জন এখনো জীবিত রয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই বোমা হামলার ফলে বন্দীরা হয় হামাসের প্রতিশোধে মারা যাবেন, নয়তো ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় প্রাণ হারাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অফিস ফক অবশ্য বলেন, “হামাস কেবল সামরিক চাপেই বুঝে। গত নভেম্বরেও এই কৌশলে ৮০ জন বন্দী মুক্ত হয়েছিল। তাই এবারও একই পথে এগোনো হচ্ছে।”

তবে এই সামরিক পথ কতটা কার্যকর হবে, আর তা কতটা মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষ ও বন্দীদের এই প্রশ্ন এখন ইসরায়েলের প্রতিটি বিক্ষোভকারীর কণ্ঠে।

নিউজটি শেয়ার করুন

নেতানিয়াহুর সিদ্ধান্তে উত্তাল তেল আবিব, গাজায় হামলায় বন্দীদের জীবন শঙ্কায়

আপডেট সময় ০৩:৫২:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

 

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেতের প্রধান রোনেন বারকে বরখাস্তের সরকারি সিদ্ধান্ত এবং গাজায় নতুন করে সামরিক অভিযান শুরুর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার তেল আবিবের রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। হাবিমা স্কয়ারে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীরা ইসরায়েলের পতাকা হাতে সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন এবং গাজায় বন্দী ইসরায়েলিদের মুক্তির জন্য নতুন চুক্তির দাবি জানান।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার আগে সঠিক গোয়েন্দা তথ্য দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোনেন বারকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, রোনেনের ওপর তাঁর আস্থা নেই। যদিও সুপ্রিম কোর্ট এই বরখাস্তের আদেশ আপাতত স্থগিত করেছে, তারপরও দেশের রাজনীতি ও জনমানসে এই সিদ্ধান্ত ঘূর্ণিঝড় তুলেছে।

বিজ্ঞাপন

সমালোচকেরা বলছেন, রোনেনকে বরখাস্তের মাধ্যমে নেতানিয়াহু দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবের নিচে এনে দিচ্ছেন, যা গণতন্ত্রের জন্য বড় হুমকি। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মোশে হাহারোনি বলেন, “নেতানিয়াহুই আজকের ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু। দীর্ঘ দুই দশক ধরে তিনি জনগণকে অগ্রাহ্য করে গেছেন।”

গাজায় সাম্প্রতিক হামলায় বন্দী ৫৯ ইসরায়েলির জীবন এখন ঝুঁকির মুখে। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৪ জন এখনো জীবিত রয়েছেন। বিক্ষোভকারীরা শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই বোমা হামলার ফলে বন্দীরা হয় হামাসের প্রতিশোধে মারা যাবেন, নয়তো ইসরায়েলি বাহিনীর বোমায় প্রাণ হারাবেন।

প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অফিস ফক অবশ্য বলেন, “হামাস কেবল সামরিক চাপেই বুঝে। গত নভেম্বরেও এই কৌশলে ৮০ জন বন্দী মুক্ত হয়েছিল। তাই এবারও একই পথে এগোনো হচ্ছে।”

তবে এই সামরিক পথ কতটা কার্যকর হবে, আর তা কতটা মূল্য চোকাতে হবে সাধারণ মানুষ ও বন্দীদের এই প্রশ্ন এখন ইসরায়েলের প্রতিটি বিক্ষোভকারীর কণ্ঠে।