ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ জুন ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ষাটগম্বুজ মসজিদে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সম্পন্ন : মুসল্লিদের উপচে পড়া ভিড় ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করলো বিএনপি ঈদের দিনেও গাজায় রক্তক্ষরণ: ইসরায়েলি হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনি নিহত জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল আযহায় স্বাস্থ্যসচেতনতা: সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ঈদ করুন আর্জেন্টিনার জয় চিলিতে, গোল আলভারেজের ঈদুল আজহা উপলক্ষে ওমানে ৬৪৫ কারাবন্দিকে ক্ষমা দিলেন সুলতান হাইথাম দুবাইয়ে ঈদুল আজহার নামাজ সম্পন্ন, ঈদগাহে মুসল্লিদের ঢল বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬ বিলিয়ন ডলারে ফের অন্তঃসত্ত্বা ‘দৃশ্যম’ অভিনেত্রী ঈশিতা দত্ত, প্রকাশ্যে বেবি বাম্প

ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখ অভিবাসীর অনিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
  • / 22

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা নিয়ে এল দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্ত। প্রায় পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী আইনি মর্যাদা বাতিল করে তাদের ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর ফলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে চালু হওয়া ‘প্যারোল’ প্রক্রিয়ার ইতি ঘটবে, যার আওতায় স্থানীয় স্পন্সরের সহায়তায় এসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পেতেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসননীতিতে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে এবং এ পদক্ষেপ তার সর্বশেষ উদ্যোগ।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা থেকে আগত যেসব অভিবাসী বর্তমানে অস্থায়ী বৈধ মর্যাদায় রয়েছেন, তাদের মর্যাদা ২৪ এপ্রিলের পর বাতিল বলে গণ্য হবে। এই সময়সীমার মধ্যে দেশ না ছাড়লে তাদের পারমিট ও বহিষ্কার সুরক্ষা (ডিপোর্টেশন প্রোটেকশন) বাতিল করে দেওয়া হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, বাইডেন প্রশাসনের প্যারোল কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনকে লঙ্ঘন করেছে। সে কারণেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশ জারি করে তিনি এই কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ দেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনের আগেই ট্রাম্প তার কড়া অভিবাসন নীতির বার্তা তুলে ধরতে চান, আর এ সিদ্ধান্ত তারই ইঙ্গিত। তবে হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে লক্ষাধিক মানুষ পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তার মুখে, যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে কর্মসংস্থান ও নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন গড়ে তুলেছিলেন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলছে, এটি শুধু অমানবিক নয়, বরং অনেক পরিবারকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এখন দেখার বিষয়, আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে আদৌ সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয় কিনা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্তে যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচ লাখ অভিবাসীর অনিশ্চয়তা, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ

আপডেট সময় ০৪:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলার নাগরিকদের জন্য বড় ধরনের ধাক্কা নিয়ে এল দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সিদ্ধান্ত। প্রায় পাঁচ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীর অস্থায়ী আইনি মর্যাদা বাতিল করে তাদের ২৪ এপ্রিলের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২১ মার্চ) মার্কিন ফেডারেল রেজিস্ট্রারে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এর ফলে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে চালু হওয়া ‘প্যারোল’ প্রক্রিয়ার ইতি ঘটবে, যার আওতায় স্থানীয় স্পন্সরের সহায়তায় এসব অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের সুযোগ পেতেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসননীতিতে আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে এবং এ পদক্ষেপ তার সর্বশেষ উদ্যোগ।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনিজুয়েলা থেকে আগত যেসব অভিবাসী বর্তমানে অস্থায়ী বৈধ মর্যাদায় রয়েছেন, তাদের মর্যাদা ২৪ এপ্রিলের পর বাতিল বলে গণ্য হবে। এই সময়সীমার মধ্যে দেশ না ছাড়লে তাদের পারমিট ও বহিষ্কার সুরক্ষা (ডিপোর্টেশন প্রোটেকশন) বাতিল করে দেওয়া হবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, বাইডেন প্রশাসনের প্যারোল কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আইনকে লঙ্ঘন করেছে। সে কারণেই চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশ জারি করে তিনি এই কর্মসূচি বন্ধের নির্দেশ দেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, আগামী নির্বাচনের আগেই ট্রাম্প তার কড়া অভিবাসন নীতির বার্তা তুলে ধরতে চান, আর এ সিদ্ধান্ত তারই ইঙ্গিত। তবে হঠাৎ এই সিদ্ধান্তে লক্ষাধিক মানুষ পড়েছেন চরম অনিশ্চয়তার মুখে, যারা ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করে কর্মসংস্থান ও নিরাপদ জীবনের স্বপ্ন গড়ে তুলেছিলেন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো এ সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে বলছে, এটি শুধু অমানবিক নয়, বরং অনেক পরিবারকে চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এখন দেখার বিষয়, আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে আদৌ সিদ্ধান্তটি কার্যকর হয় কিনা।