ইরানকে হামলার হুমকি দিলে চরম মূল্য দেবে যুক্তরাষ্ট্র: খামেনি

- আপডেট সময় ০১:৩৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / 21
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনায় বসার জন্য দুই মাসের সময়সীমা দিয়েছেন। এ লক্ষ্যে দেশটিকে পাঠানো হয়েছে একটি কড়া বার্তার চিঠিও। তবে এবার পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইরানের ওপর হামলা চালানো হলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে।
শুক্রবার (২১ মার্চ) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার বরাতে এমনটাই জানানো হয়েছে।
টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে খামেনি বলেন, “আমরা যুদ্ধ চাই না, কিন্তু কেউ যদি ইরানি জাতির ক্ষতি করার দুঃসাহস দেখায়, তাহলে তাদের এমন জবাব দেওয়া হবে যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্র কিংবা অন্য কারও হুমকিতে ইরান পিছিয়ে যাবে না।”
সম্প্রতি ট্রাম্প এক বক্তব্যে বলেছেন, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ছোড়া প্রতিটি গুলিকে ইরানের হামলা হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তার এই বক্তব্যের পর তেহরান-ওয়াশিংটন উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে।
এরইমধ্যে ইরানের পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিতব্য এই বৈঠকে অংশ নেবেন ইসরায়েলের স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্স মন্ত্রী রন ডার্মার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তজাচি হানেগবি। ট্রাম্প প্রশাসনের শীর্ষ উপদেষ্টাদের সঙ্গেও তাদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
বৈঠকে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যে দেশটির প্রভাব, বিশেষ করে হিজবুল্লাহ ও হুতি বিদ্রোহীদের প্রতি তেহরানের সহায়তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে জানা গেছে। মার্কিন প্রশাসনের একটি সূত্র বলছে, ইরান যদি চুক্তিতে ফিরে না আসে, তবে সামরিক পথেই সমাধানের দিকে এগোবে ওয়াশিংটন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, উত্তেজনার এই পরিস্থিতি এক ভুল সিদ্ধান্তেই বিস্ফোরক রূপ নিতে পারে, যা গোটা অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠবে।