ঢাকা ১১:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ২০ ফিলিস্তিনি নিহত, মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৫২ হাজার ভারতের অহংকার চূর্ণ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী: শেহবাজ শরিফের দাবি কাকরাইলে রাতভর অবস্থান, তিন দফা দাবিতে অনড় জবি শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কোথায় কোথায় বসছে কোরবানির বিশাল পশুর হাট? শিক্ষার্থীদের পানির বোতল ছোঁড়া ঘটনায় হতাশা প্রকাশ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে চাই দৃশ্যমান দৃষ্টান্ত: প্রধান বিচারপতি ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় পুতিন থাকছেন না, ক্ষোভে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত রামনের নাটকীয় গোলে মায়োর্কার বিপক্ষে রিয়ালের জয়, টিকে রাইল শিরোপার আশা কাতার-যুক্তরাষ্ট্রে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলারের ঐতিহাসিক চুক্তি, বোয়িংয়ের রেকর্ড অর্ডার

ইথিওপিয়ার শান্তির আহ্বান: যুদ্ধ চান না প্রধানমন্ত্রী

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
  • / 30

ছবি সংগৃহীত

 

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়াতে চান না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। ইথিওপিয়া একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যার কোনো সমুদ্রসীমা নেই। সমুদ্রবন্দর দখলের বিষয়ে দেশটির পূর্ববর্তী উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

২০২৩ সালে ইথিওপিয়ার একটি পূর্ববর্তী বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সমুদ্রবন্দর থাকা দেশের জন্য ‘অস্তিত্বগত বিষয়’। এর ফলে, ইথিওপিয়া জোর করে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার একটি বন্দর দখল করতে পারে এমন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। অতীতে সম্পর্ক খারাপ থাকা এই দুই প্রতিবেশী আবারও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে এমন নতুন উদ্বেগের মধ্যেই ইথিওপিয়ান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ পার্লামেন্টে এই মন্তব্য করেন।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল স্থলবেষ্টিত দেশের সমুদ্র প্রবেশাধিকারের বিষয়টি কূটনীতি এবং পারস্পরিক সুবিধার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো ‘দেওয়া-নেওয়ার নীতি’র ভিত্তিতে আলোচনা করা। ইরিত্রিয়ার জনগণের যা প্রয়োজন তা হলো— উন্নয়ন, কোনও ধরনের সংঘাত নয়। আমাদের পরিকল্পনা যুদ্ধ করা নয় বরং একসাথে কাজ করা এবং একসাথে বেড়ে ওঠা।’

তবুও তিনি জোর দিয়ে বলেন, সমুদ্রবন্দর ঘিরে আলোচনা নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নয় এবং বিশ্বব্যাপী নিয়মগুলো এই ধারণাকে সমর্থন করে যে— বৃহৎ দেশগুলোর সমুদ্রে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন।

ইরিত্রিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে অঞ্চলে যুদ্ধ আবারও শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুই বছরের গৃহযুদ্ধের ফলে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ২০২২ সালের নভেম্বরে সেই সংঘাত শেষ হলেও টাইগ্রেতে রাজনীতিবিদরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় শান্তি চুক্তির কিছু অংশ নিয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইরিত্রিয়া এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভাজনে হস্তক্ষেপ করছে।

গত বৃহস্পতিবার টাইগ্রের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট গেটাচিউ রেদা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ইরিত্রিয়ার সাথে যোগসাজশের অভিযোগ করেছেন। মূলত ইরিত্রিয়া অতীতে গৃহযুদ্ধের সময় ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকারকে সমর্থন করেছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইথিওপিয়ার শান্তির আহ্বান: যুদ্ধ চান না প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় ০১:০৯:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

 

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের যুদ্ধে জড়াতে চান না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন। ইথিওপিয়া একটি স্থলবেষ্টিত দেশ, যার কোনো সমুদ্রসীমা নেই। সমুদ্রবন্দর দখলের বিষয়ে দেশটির পূর্ববর্তী উদ্বেগের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এই মন্তব্য করেন।

২০২৩ সালে ইথিওপিয়ার একটি পূর্ববর্তী বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, সমুদ্রবন্দর থাকা দেশের জন্য ‘অস্তিত্বগত বিষয়’। এর ফলে, ইথিওপিয়া জোর করে প্রতিবেশী দেশ ইরিত্রিয়ার একটি বন্দর দখল করতে পারে এমন উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। অতীতে সম্পর্ক খারাপ থাকা এই দুই প্রতিবেশী আবারও সংঘাতে জড়িয়ে পড়তে পারে এমন নতুন উদ্বেগের মধ্যেই ইথিওপিয়ান প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ পার্লামেন্টে এই মন্তব্য করেন।

ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল স্থলবেষ্টিত দেশের সমুদ্র প্রবেশাধিকারের বিষয়টি কূটনীতি এবং পারস্পরিক সুবিধার মাধ্যমে সমাধান করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো ‘দেওয়া-নেওয়ার নীতি’র ভিত্তিতে আলোচনা করা। ইরিত্রিয়ার জনগণের যা প্রয়োজন তা হলো— উন্নয়ন, কোনও ধরনের সংঘাত নয়। আমাদের পরিকল্পনা যুদ্ধ করা নয় বরং একসাথে কাজ করা এবং একসাথে বেড়ে ওঠা।’

তবুও তিনি জোর দিয়ে বলেন, সমুদ্রবন্দর ঘিরে আলোচনা নিষিদ্ধ হওয়া উচিত নয় এবং বিশ্বব্যাপী নিয়মগুলো এই ধারণাকে সমর্থন করে যে— বৃহৎ দেশগুলোর সমুদ্রে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন।

ইরিত্রিয়ার সংশ্লিষ্টতার কারণে ইথিওপিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় টাইগ্রে অঞ্চলে যুদ্ধ আবারও শুরু হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দুই বছরের গৃহযুদ্ধের ফলে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল। ২০২২ সালের নভেম্বরে সেই সংঘাত শেষ হলেও টাইগ্রেতে রাজনীতিবিদরা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় শান্তি চুক্তির কিছু অংশ নিয়ে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, ইরিত্রিয়া এই অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভাজনে হস্তক্ষেপ করছে।

গত বৃহস্পতিবার টাইগ্রের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট গেটাচিউ রেদা তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের ইরিত্রিয়ার সাথে যোগসাজশের অভিযোগ করেছেন। মূলত ইরিত্রিয়া অতীতে গৃহযুদ্ধের সময় ইথিওপিয়ার ফেডারেল সরকারকে সমর্থন করেছিল।