ঢাকা ১১:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ-হত্যা মামলায় হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড বন্দি বিনিময় সংক্রান্ত বড় সমঝোতায় পৌঁছাল রাশিয়া ও ইউক্রেন শিশু আছিয়ার হত্যার মামলা: রায় আজ, জনগণের প্রতীক্ষা সাজেকে শুরু হলো স্যাটেলাইট ফায়ার স্টেশনের কার্যক্রম ফাহমিদুল ইসলামকে আবার ডাক দিল বাফুফে: জাতীয় দলে নতুন আশা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মুহাম্মদ ইসলাম লন্ডনে ডেপুটি সিভিক মেয়র নির্বাচিত “ফারাক্কার ফাঁদে বাংলাদেশ: বাঁধের পঞ্চাশ বছরের বেদনা ও বিপর্যয়।” আইপিএল পুনরায় শুরুর আগে ধাক্কা দিল্লীর শিবিরে, নেই স্টার্ক-ডু প্লেসিস-ফেরেয়রা ভারত-পাকিস্তান চুক্তিতে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়লো আজ ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস

ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন ফিরলেন বেনাপোলে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 15

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন বাংলাদেশি। বুধবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকতার পর বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছেন একজন তরুণ, একজন তরুণী, ১০ জন মেয়েশিশু ও ৯ জন ছেলেশিশু। শিশুদের বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস থেকে ১৮ বছরের নিচে। দুই তরুণ-তরুণীর বয়স ১৯ ও ২০ বছর। তাঁদের বাড়ি যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, নড়াইল, ফরিদপুর, ঢাকা, কক্সবাজার, নাটোর ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, অধিকাংশ তরুণ-তরুণী জীবিকার সন্ধানে দালালের প্ররোচনায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। অন্যদিকে শিশুরা তাদের মা-বাবার সঙ্গে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। পরে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁদের আটক করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠায়। পরবর্তী সময়ে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাঁদের কারাগার থেকে মুক্ত করে নিজস্ব শেল্টার হোমে আশ্রয় দেয়।

বুধবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফেরানো হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাঁদের বেনাপোল বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসাদের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে দুটি বেসরকারি সংস্থা তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়।

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফেরত আসাদের দুটি বেসরকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসব সংস্থা তাঁদের যথাযথভাবে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।

পাচার হয়ে যাওয়ার পর দেশে ফেরা এসব শিশুর ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, শুধু উদ্ধার করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং পাচারের মতো অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে দালাল চক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি, যাতে আর কোনো শিশু-নারী পাচারের শিকার না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন ফিরলেন বেনাপোলে

আপডেট সময় ০১:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন বাংলাদেশি। বুধবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকতার পর বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছেন একজন তরুণ, একজন তরুণী, ১০ জন মেয়েশিশু ও ৯ জন ছেলেশিশু। শিশুদের বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস থেকে ১৮ বছরের নিচে। দুই তরুণ-তরুণীর বয়স ১৯ ও ২০ বছর। তাঁদের বাড়ি যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, নড়াইল, ফরিদপুর, ঢাকা, কক্সবাজার, নাটোর ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, অধিকাংশ তরুণ-তরুণী জীবিকার সন্ধানে দালালের প্ররোচনায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। অন্যদিকে শিশুরা তাদের মা-বাবার সঙ্গে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। পরে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁদের আটক করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠায়। পরবর্তী সময়ে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাঁদের কারাগার থেকে মুক্ত করে নিজস্ব শেল্টার হোমে আশ্রয় দেয়।

বুধবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফেরানো হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাঁদের বেনাপোল বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসাদের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে দুটি বেসরকারি সংস্থা তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়।

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফেরত আসাদের দুটি বেসরকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসব সংস্থা তাঁদের যথাযথভাবে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।

পাচার হয়ে যাওয়ার পর দেশে ফেরা এসব শিশুর ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, শুধু উদ্ধার করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং পাচারের মতো অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে দালাল চক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি, যাতে আর কোনো শিশু-নারী পাচারের শিকার না হয়।