ঢাকা ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
গাজীপুরে নাসির হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য গ্রেপ্তার চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ: একদিনে ৩২ জন আক্রান্ত ভিয়েতনামে পর্যটকবাহী নৌকা ডুবে ৩৪ জনের মৃত্যু গাজায় অনাহারে ৩৫ দিনের শিশুর মৃত্যু, ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১১৬ ২০ বছর কোমায় থাকার পর সৌদির ‘ঘুমন্ত রাজপুত্র’ মারা গেলেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) নির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত ইরানে ধ/র্ষ/ণে/র দায়ে ৩ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রম ও অবদানে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য: জামায়াত আমির মানবাধিকারের পক্ষে থাকুন, ঘেটো বানাবেন না: তথ্য উপদেষ্টা

ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন ফিরলেন বেনাপোলে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫
  • / 27

ছবি সংগৃহীত

 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন বাংলাদেশি। বুধবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকতার পর বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছেন একজন তরুণ, একজন তরুণী, ১০ জন মেয়েশিশু ও ৯ জন ছেলেশিশু। শিশুদের বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস থেকে ১৮ বছরের নিচে। দুই তরুণ-তরুণীর বয়স ১৯ ও ২০ বছর। তাঁদের বাড়ি যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, নড়াইল, ফরিদপুর, ঢাকা, কক্সবাজার, নাটোর ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, অধিকাংশ তরুণ-তরুণী জীবিকার সন্ধানে দালালের প্ররোচনায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। অন্যদিকে শিশুরা তাদের মা-বাবার সঙ্গে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। পরে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁদের আটক করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠায়। পরবর্তী সময়ে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাঁদের কারাগার থেকে মুক্ত করে নিজস্ব শেল্টার হোমে আশ্রয় দেয়।

বুধবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফেরানো হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাঁদের বেনাপোল বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসাদের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে দুটি বেসরকারি সংস্থা তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়।

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফেরত আসাদের দুটি বেসরকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসব সংস্থা তাঁদের যথাযথভাবে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।

পাচার হয়ে যাওয়ার পর দেশে ফেরা এসব শিশুর ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, শুধু উদ্ধার করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং পাচারের মতো অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে দালাল চক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি, যাতে আর কোনো শিশু-নারী পাচারের শিকার না হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন ফিরলেন বেনাপোলে

আপডেট সময় ০১:৩৪:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

 

দীর্ঘ অপেক্ষার পর দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া ২১ জন বাংলাদেশি। বুধবার বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ আনুষ্ঠানিকতার পর বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে।

ফেরত আসাদের মধ্যে রয়েছেন একজন তরুণ, একজন তরুণী, ১০ জন মেয়েশিশু ও ৯ জন ছেলেশিশু। শিশুদের বয়স মাত্র ১ বছর ৭ মাস থেকে ১৮ বছরের নিচে। দুই তরুণ-তরুণীর বয়স ১৯ ও ২০ বছর। তাঁদের বাড়ি যশোর, সাতক্ষীরা, খুলনা, নড়াইল, ফরিদপুর, ঢাকা, কক্সবাজার, নাটোর ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন এলাকায়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ জানায়, অধিকাংশ তরুণ-তরুণী জীবিকার সন্ধানে দালালের প্ররোচনায় সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যান। অন্যদিকে শিশুরা তাদের মা-বাবার সঙ্গে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছিল। পরে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাঁদের আটক করে আদালতের নির্দেশে জেলহাজতে পাঠায়। পরবর্তী সময়ে ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাঁদের কারাগার থেকে মুক্ত করে নিজস্ব শেল্টার হোমে আশ্রয় দেয়।

বুধবার বিকেল ৩টা ৫৫ মিনিটে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফেরানো হয়। এরপর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে তাঁদের বেনাপোল বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইব্রাহিম আহমেদ বলেন, বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসাদের প্রাথমিক আনুষ্ঠানিকতা শেষে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে দুটি বেসরকারি সংস্থা তাঁদের পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নেয়।

বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া জানান, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ফেরত আসাদের দুটি বেসরকারি সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়। এসব সংস্থা তাঁদের যথাযথভাবে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেবে।

পাচার হয়ে যাওয়ার পর দেশে ফেরা এসব শিশুর ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলছে, শুধু উদ্ধার করলেই দায়িত্ব শেষ হয়ে যায় না, বরং পাচারের মতো অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। একই সঙ্গে দালাল চক্রকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি, যাতে আর কোনো শিশু-নারী পাচারের শিকার না হয়।