০৭:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইলন মাস্কের ‘ছোটলোক’ মন্তব্য

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
  • / 100

ছবি সংগৃহীত

 

মার্কিন টেক ধনকুবের ইলন মাস্ক পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্ল সিকোরস্কিকে ‘ছোটলোক’ বলে মন্তব্য করেছেন। ইউক্রেনে স্টারলিংক উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা নিয়ে তীব্র বাদানুবাদের সময় মাস্ক এই মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি।

রোববার এক্সে (টুইটার) সিরিজ পোস্টে এই বাদানুবাদ শুরু হয়। ইলন মাস্ক যখন ইউক্রেনে স্টারলিংক সেবা বন্ধের ইঙ্গিত দেন, তখন সিকোরস্কি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘‘স্টারলিংক বন্ধের হুমকির পর ইউক্রেনে লোকেরা অন্য কোনো ইন্টারনেট সরবরাহকারী খুঁজে নেবে।’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও পরবর্তী মন্তব্যে বলেন, মাস্ক এমন কিছু বলেননি এবং সিকোরস্কিকে আরও ‘কৃতজ্ঞ’ হতে আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

এই বিতর্কের শেষে মাস্ক পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘ছোটলোক’ বলে আক্রমণ করেন। মাস্কের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, বিশেষত যখন তিনি স্টারলিংককে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ‘মেরুদণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যদি আমি স্টারলিংক বন্ধ করি, পুরো ফ্রন্টলাইন ভেঙে পড়বে।’’

স্টারলিংক, যা মাস্কের মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা স্পেসএক্সের একটি প্রকল্প, পৃথিবীর দূর্গম এবং যুদ্ধক্ষেত্রের মতো অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য খ্যাত। তবে, ইউক্রেনে এই সেবা ব্যবহারের খরচ পোল্যান্ড বহন করছে, এবং এই নিয়ে সিকোরস্কি বলেছেন, ‘‘যদি স্পেসএক্স অবিশ্বস্ত প্রমাণিত হয়, আমরা অন্য কোনো সরবরাহকারী খুঁজে নেব।’’ পোলিশ সরকার প্রতিবছর স্টারলিংকের জন্য পাঁচ কোটি ডলার খরচ করছে।

এই বিতর্কের মূল প্রসঙ্গ ছিল, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এই ইন্টারনেট সেবা কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং তা বন্ধ হলে এর প্রভাব কী হতে পারে। সিকোরস্কি দাবি করেছেন, পোল্যান্ড যদি ইউক্রেনে স্টারলিংক সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মাস্কের এই মন্তব্য এবং পরবর্তী পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে, ইউক্রেন ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রযুক্তির ভূমিকা আরও জটিল হয়ে উঠছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ইলন মাস্কের ‘ছোটলোক’ মন্তব্য

আপডেট সময় ১১:৩৩:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

 

মার্কিন টেক ধনকুবের ইলন মাস্ক পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাদোস্ল সিকোরস্কিকে ‘ছোটলোক’ বলে মন্তব্য করেছেন। ইউক্রেনে স্টারলিংক উপগ্রহভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবস্থাপনা নিয়ে তীব্র বাদানুবাদের সময় মাস্ক এই মন্তব্য করেন। খবর বিবিসি।

রোববার এক্সে (টুইটার) সিরিজ পোস্টে এই বাদানুবাদ শুরু হয়। ইলন মাস্ক যখন ইউক্রেনে স্টারলিংক সেবা বন্ধের ইঙ্গিত দেন, তখন সিকোরস্কি প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, ‘‘স্টারলিংক বন্ধের হুমকির পর ইউক্রেনে লোকেরা অন্য কোনো ইন্টারনেট সরবরাহকারী খুঁজে নেবে।’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে, মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও পরবর্তী মন্তব্যে বলেন, মাস্ক এমন কিছু বলেননি এবং সিকোরস্কিকে আরও ‘কৃতজ্ঞ’ হতে আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

এই বিতর্কের শেষে মাস্ক পোল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ‘ছোটলোক’ বলে আক্রমণ করেন। মাস্কের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়, বিশেষত যখন তিনি স্টারলিংককে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর ‘মেরুদণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘যদি আমি স্টারলিংক বন্ধ করি, পুরো ফ্রন্টলাইন ভেঙে পড়বে।’’

স্টারলিংক, যা মাস্কের মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থা স্পেসএক্সের একটি প্রকল্প, পৃথিবীর দূর্গম এবং যুদ্ধক্ষেত্রের মতো অঞ্চলে উচ্চগতির ইন্টারনেট সরবরাহের জন্য খ্যাত। তবে, ইউক্রেনে এই সেবা ব্যবহারের খরচ পোল্যান্ড বহন করছে, এবং এই নিয়ে সিকোরস্কি বলেছেন, ‘‘যদি স্পেসএক্স অবিশ্বস্ত প্রমাণিত হয়, আমরা অন্য কোনো সরবরাহকারী খুঁজে নেব।’’ পোলিশ সরকার প্রতিবছর স্টারলিংকের জন্য পাঁচ কোটি ডলার খরচ করছে।

এই বিতর্কের মূল প্রসঙ্গ ছিল, ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এই ইন্টারনেট সেবা কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং তা বন্ধ হলে এর প্রভাব কী হতে পারে। সিকোরস্কি দাবি করেছেন, পোল্যান্ড যদি ইউক্রেনে স্টারলিংক সেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

মাস্কের এই মন্তব্য এবং পরবর্তী পাল্টা আক্রমণের মধ্য দিয়ে, ইউক্রেন ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রযুক্তির ভূমিকা আরও জটিল হয়ে উঠছে।