ঢাকা ০৯:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৫, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব: আসিফ মাহমুদ রাজনীতি থেকে মাইনাস হবে, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে: সালাহউদ্দিন ইউক্রেন যুদ্ধ সমাধানে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর মডেলের প্রস্তাব ডিএমপি আবারো রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে যান চলাচল বন্ধ, যমুনা সেতুতে শিক্ষার্থীদের ব্লকেড ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩ ইউক্রেনের ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় রাশিয়ার হামলা নির্বাচন ফেব্রুয়ারি মাস যেন ক্রস না করে : শামসুজ্জামান দুদু ভোলাগঞ্জে সাদা পাথর লুট: দায়ীদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট, শুনানি ১৭ আগস্ট ত্রিদেশীয় জয় শেষে ইংল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ দল

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড, সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখীন উপকূলীয় অঞ্চল

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫
  • / 57

ছবি সংগৃহীত

 

অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড, যা দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। প্রবল বাতাস, টানা বৃষ্টি ও উচ্ছ্বাসিত জলোচ্ছ্বাসের ফলে হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া এবং বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি চরম বিপদজ্জনক হয়ে উঠেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যার কারণে বহু শহর ও গ্রামীণ এলাকার বিপুল ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ায় অনেক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং জলাবদ্ধতার কারণে সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়ায় রাস্তায় চলাচল দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

এ ঘটনায় হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তা ও সেতু ধসে যাওয়ার কারণে বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিপন্ন মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে এবং জরুরি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধারকর্মীরা বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করছে।

অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে যে, আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টায় আরও ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হতে পারে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় আরও বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। সরকার জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়ে উদ্ধারকর্মী ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত আরও হতে পারে, তাই আরও সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর প্রশাসন, উদ্ধারকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চলছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত নয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

অস্ট্রেলিয়ায় ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড, সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি সম্মুখীন উপকূলীয় অঞ্চল

আপডেট সময় ০১:০৫:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ মার্চ ২০২৫

 

অস্ট্রেলিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় আলফ্রেড, যা দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। প্রবল বাতাস, টানা বৃষ্টি ও উচ্ছ্বাসিত জলোচ্ছ্বাসের ফলে হাজারো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়া এবং বন্যা সৃষ্টি হওয়ায় পরিস্থিতি চরম বিপদজ্জনক হয়ে উঠেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪০ থেকে ১৮০ কিলোমিটার, যার কারণে বহু শহর ও গ্রামীণ এলাকার বিপুল ক্ষতি হয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু ঢেউ আছড়ে পড়ায় অনেক স্থাপনা ধ্বংস হয়ে গেছে, এবং জলাবদ্ধতার কারণে সড়ক যোগাযোগ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছপালা উপড়ে পড়ায় রাস্তায় চলাচল দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।

এ ঘটনায় হাজার হাজার বাড়িঘর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তা ও সেতু ধসে যাওয়ার কারণে বেশ কিছু এলাকায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বিপন্ন মানুষের জন্য নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে এবং জরুরি উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। উদ্ধারকর্মীরা বন্যায় আটকে পড়া মানুষদের নৌকা ও হেলিকপ্টারের সাহায্যে উদ্ধার করছে।

অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া বিভাগ সতর্কতা জারি করেছে যে, আগামী ২৪-৪৮ ঘণ্টায় আরও ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত হতে পারে, বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় আরও বন্যা ও ভূমিধসের আশঙ্কা রয়েছে। সরকার জরুরি অবস্থার ঘোষণা দিয়ে উদ্ধারকর্মী ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, এ ধরনের ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত আরও হতে পারে, তাই আরও সতর্কতা ও প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও ত্রাণ কার্যক্রম চালাচ্ছে।

এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর প্রশাসন, উদ্ধারকর্মী এবং সাধারণ মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা চলছে, তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও নিশ্চিত নয়।