ইউক্রেনকে রক্ষা করতে যুক্তরাজ্যের ‘কোয়ালিশন অব উইলিং’ জোট গড়ার আহ্বান
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমার, ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন জোরদারের জন্য যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশের এক শক্তিশালী জোট গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই জোটের লক্ষ্য ইউক্রেনের স্বাধীনতা রক্ষা এবং রাশিয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধ করা। তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের সমাপ্তি এবং ইউক্রেনের সুরক্ষায় চার দফা কর্মপরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছেন।
স্টারমার বলেন, “আমরা আজ ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে দাঁড়িয়ে আছি।” ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি শীর্ষ সম্মেলন শেষে জানান, ইউক্রেন শক্তিশালী সমর্থন অনুভব করছে এবং ইউরোপীয় ঐক্য একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা সকলেই একসঙ্গে কাজ করছি যাতে আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতা আরও গভীর হয় এবং ইউরোপে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়।”
অন্যদিকে, ফরাসি রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাখোঁ প্যারিসে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন, যেখানে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে আকাশ, সমুদ্র এবং জ্বালানি অবকাঠামোতে এক মাসের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হবে। এর পাশাপাশি, স্টারমার যুক্তরাজ্য থেকে পাঁচ হাজার আকাশ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য অতিরিক্ত দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, ইউক্রেনের সুরক্ষায় নতুন ‘কোয়ালিশন অফ উইলিং’-এ যোগ দেওয়ার জন্য একাধিক দেশ ইতোমধ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তবে কোন দেশগুলো তা জানিয়েছেননি। তবে তিনি নিশ্চিত করেন, যারা অঙ্গীকার করেছেন, তারা জরুরি ভিত্তিতে কাজ শুরু করবেন।
এদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েন এবং ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল মার্ক রুটে একই সুরে বলেন, ইউরোপকে পুনরায় অস্ত্রে সজ্জিত করার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেয়েছে। বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো নিশ্চিত করেছে যে, ইউক্রেন যতদিন প্রয়োজন, ততদিন তারা লড়াই চালিয়ে যাবে।
শীর্ষ সম্মেলন শেষে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান এবং জানান, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর করতে প্রস্তুত। তবে এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট উল্লেখ করেন, রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি ছাড়া এই চুক্তি কার্যকর হবে না।