০৬:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ক্ষমতায় ফিরে ৭৯টি নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প, বিতর্ক-প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১১:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫
  • / 69

ছবি সংগৃহীত

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নির্বাহী আদেশের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ৭৯টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পরিধি বিশাল বাণিজ্যনীতি, অভিবাসন, নাগরিক অধিকার থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডার নীতিমালা পর্যন্ত বিস্তৃত। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রশাসনিক পরিবর্তনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ফেডারেল রেজিস্টারের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৭ সালের পর থেকে এত কম সময়ে এত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজির নেই। তবে এতে সমর্থনের পাশাপাশি ব্যাপক প্রতিরোধের মুখেও পড়তে হচ্ছে ট্রাম্পকে। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির জাস্ট সিকিউরিটির পর্যবেক্ষণ বলছে, এখন পর্যন্ত তার ১৬টি নির্বাহী আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

ট্রাম্পের অগ্রাধিকারের তালিকায় অর্থনীতি ও অভিবাসন শীর্ষে। তিনি ২৭টি আদেশে সই করেছেন বাণিজ্য ও শুল্কনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে, যার মধ্যে কানাডা-মেক্সিকোর ওপর শুল্ক হুমকি এবং চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ অন্যতম।

অভিবাসন ইস্যুতেও তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং নির্দিষ্ট মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ভিসা কঠোর করার মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত তার নির্বাহী আদেশের অংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বৈচিত্র্য ও লিঙ্গভিত্তিক নীতিমালায় পরিবর্তন এসেছে। কর্মক্ষেত্রে বর্ণবাদ ও লিঙ্গ বৈষম্যবিরোধী প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধ করা, ট্রান্সজেন্ডার নীতিতে পরিবর্তন আনা ও জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে সহায়তা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ আদেশ অনুযায়ী, সরকারি সংস্থা ও ফেডারেল অর্থায়ন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব নথিপত্র ও অফিসিয়াল যোগাযোগে ইংরেজি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশগুলোর প্রভাব কতটা স্থায়ী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার আগ্রাসী নীতিগুলো ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ক্ষমতায় ফিরে ৭৯টি নির্বাহী আদেশে সই করলেন ট্রাম্প, বিতর্ক-প্রতিক্রিয়ায় উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র

আপডেট সময় ১১:১৫:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩ মার্চ ২০২৫

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই নির্বাহী আদেশের বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা গ্রহণের পর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি ৭৯টি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের পরিধি বিশাল বাণিজ্যনীতি, অভিবাসন, নাগরিক অধিকার থেকে শুরু করে ট্রান্সজেন্ডার নীতিমালা পর্যন্ত বিস্তৃত। রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেসের সুবিধা কাজে লাগিয়ে প্রশাসনিক পরিবর্তনে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

ফেডারেল রেজিস্টারের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৭ সালের পর থেকে এত কম সময়ে এত নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করা কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের নজির নেই। তবে এতে সমর্থনের পাশাপাশি ব্যাপক প্রতিরোধের মুখেও পড়তে হচ্ছে ট্রাম্পকে। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির জাস্ট সিকিউরিটির পর্যবেক্ষণ বলছে, এখন পর্যন্ত তার ১৬টি নির্বাহী আদেশকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।

ট্রাম্পের অগ্রাধিকারের তালিকায় অর্থনীতি ও অভিবাসন শীর্ষে। তিনি ২৭টি আদেশে সই করেছেন বাণিজ্য ও শুল্কনীতি সংক্রান্ত বিষয়ে, যার মধ্যে কানাডা-মেক্সিকোর ওপর শুল্ক হুমকি এবং চীনা পণ্যে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ অন্যতম।

অভিবাসন ইস্যুতেও তিনি কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা এবং নির্দিষ্ট মুসলিমপ্রধান দেশগুলোর নাগরিকদের জন্য ভিসা কঠোর করার মতো বিতর্কিত সিদ্ধান্ত তার নির্বাহী আদেশের অংশ। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে বৈচিত্র্য ও লিঙ্গভিত্তিক নীতিমালায় পরিবর্তন এসেছে। কর্মক্ষেত্রে বর্ণবাদ ও লিঙ্গ বৈষম্যবিরোধী প্রশিক্ষণ নিষিদ্ধ করা, ট্রান্সজেন্ডার নীতিতে পরিবর্তন আনা ও জীবাশ্ম জ্বালানি খাতে সহায়তা বৃদ্ধির মতো পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যেখানে ইংরেজিকে যুক্তরাষ্ট্রের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ আদেশ অনুযায়ী, সরকারি সংস্থা ও ফেডারেল অর্থায়ন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে সব নথিপত্র ও অফিসিয়াল যোগাযোগে ইংরেজি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশগুলোর প্রভাব কতটা স্থায়ী হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে তার আগ্রাসী নীতিগুলো ইতিমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।