০৮:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রতি ইসরাইলের সম্মতি, কিন্তু ভবিষ্যত অনিশ্চিত

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ১২:৩১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫
  • / 73

ছবি সংগৃহীত

 

পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবের (পাসওভার) সময় ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল। রোববার (২ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত শনিবার (১ মার্চ) গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনের পাশে ইফতার করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত, স্টিভ উইটকফের পক্ষ থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে, প্রথম দিনে গাজায় আটক অর্ধেক জিম্মি মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। পরে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি উইটকফের প্রস্তাবের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। ইসরাইলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, হামাস যদি এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা শুরু করতে চায়।

এদিকে, গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে গত শনিবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এবং ১২ এপ্রিল থেকে ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবও শুরু হবে। তবে মিশরের কায়রোতে গাজায় দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা এখনও কোনো সমাধানে পৌঁছায়নি। ইসরাইল জানিয়েছে, তারা বর্তমানে চলমান যুদ্ধবিরতির কাঠামো বাড়ানোর চেষ্টা করবে, তবে নতুন শর্তে আলোচনা করতে রাজি নয়।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক বলে মন্তব্য করেছেন। গাজার মানবিক পরিস্থিতি ও সহায়তার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, কারণ যুদ্ধবিরতি না হলে মানবিক সহায়তা প্রদান করা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রতি ইসরাইলের সম্মতি, কিন্তু ভবিষ্যত অনিশ্চিত

আপডেট সময় ১২:৩১:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

 

পবিত্র রমজান মাস ও ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবের (পাসওভার) সময় ফিলিস্তিনের গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ইসরাইল। রোববার (২ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গত শনিবার (১ মার্চ) গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনের পাশে ইফতার করছিলেন ফিলিস্তিনিরা। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত, স্টিভ উইটকফের পক্ষ থেকে সাময়িক যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হয়। এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে, প্রথম দিনে গাজায় আটক অর্ধেক জিম্মি মুক্তির শর্ত রাখা হয়েছে। পরে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি হলে বাকি জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তবে হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি উইটকফের প্রস্তাবের ব্যাপারে সরাসরি কিছু বলেননি। ইসরাইলের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, হামাস যদি এই প্রস্তাব মেনে নেয়, তাহলে ইসরাইল তাৎক্ষণিকভাবে আলোচনা শুরু করতে চায়।

এদিকে, গাজাসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্যে গত শনিবার থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। এবং ১২ এপ্রিল থেকে ইহুদিদের বসন্তকালীন উৎসবও শুরু হবে। তবে মিশরের কায়রোতে গাজায় দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা এখনও কোনো সমাধানে পৌঁছায়নি। ইসরাইল জানিয়েছে, তারা বর্তমানে চলমান যুদ্ধবিরতির কাঠামো বাড়ানোর চেষ্টা করবে, তবে নতুন শর্তে আলোচনা করতে রাজি নয়।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস পরিস্থিতি অত্যন্ত সংকটজনক বলে মন্তব্য করেছেন। গাজার মানবিক পরিস্থিতি ও সহায়তার বিষয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে, কারণ যুদ্ধবিরতি না হলে মানবিক সহায়তা প্রদান করা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।