পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ: ইসরায়েলের দখলদারিত্ব আরও বাড়ছে

- আপডেট সময় ০৫:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / 40
পশ্চিম তীরের ভূমি দখল ও বসতি সম্প্রসারণের মাধ্যমে ইসরায়েল তার দখলদার নীতিকে আরও শক্তিশালী করছে। ফিলিস্তিনি মুক্তি সংস্থা (পিএলও) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমানে পশ্চিম তীরের ৪৪.৫% এলাকা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যা দিনে দিনে আরও বাড়ছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ইসরায়েল নতুন পাঁচটি বসতি ও ৫০টি সামরিক চৌকি স্থাপন করেছে। ১৯৯৫ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে বসতির সংখ্যা তিনগুণ বেড়েছে এবং এখন প্রায় ৭৪ লাখ ইসরায়েলি অবৈধভাবে বসবাস করছে। জাতিসংঘ দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করলেও, তেল আবিব সরকার নির্বিচারে বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় সহিংসতা শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনের গতি আরও বেড়েছে। সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড দেখে ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েল পশ্চিম তীরকে সরাসরি সংযুক্ত করার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
এদিকে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পশ্চিম তীরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প ৪ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে জানান, তার প্রশাসন শিগগিরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, এ ধরনের স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারের দাবিতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও রাষ্ট্রসমূহ ইসরায়েলের বসতি সম্প্রসারণ নীতির তীব্র নিন্দা জানালেও, কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে দখলদারিত্বের মাত্রা বাড়ছে। পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর দমন-পীড়ন, জমি বাজেয়াপ্তকরণ ও বসতি স্থাপনের মাধ্যমে অঞ্চলটির ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।