ঢাকা ০৫:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নেপালের রাষ্ট্রদূতকে বাণিজ্য উপদেষ্টা: বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী বাণিজ্যিক সম্পর্কের নতুন দিগন্ত খালেদা জিয়ার খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি ২ মার্চ মহাকাশ থেকে মানুষের মুখ শনাক্ত! চীনের বিপ্লবাত্মক লেজার ক্যামেরার সাফল্য চার ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, প্রশাসনে ফের বড় রদবদল অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির দাবি, শিক্ষকদের আন্দোলন ওএসডি সচিবদের বিরুদ্ধে অনিয়ম প্রমাণ হলেই নেওয়া হবে আইনি ব্যবস্থা: সচিব পাকিস্তান থেকে ২৫ হাজার টন চাল আসছে বাংলাদেশে, বাজারে স্বস্তির আশা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউক্রেনের নতুন অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব: সম্পদ থাকবে ইউক্রেনের, নিয়ন্ত্রণ থাকবে যুক্তরাষ্ট্রের আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনা: আপিল বিভাগে শুনানি মঙ্গলবার ভারতের বৈদেশিক মুদ্রা লঙ্ঘনের অভিযোগে বিবিসিকে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ৩.৯৮ লাখ ডলারের জরিমানা

মধ্যপ্রাচ্য

৬ জিম্মি ফেরত পেলেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরায়েল

খবরের কথা ডেস্ক

ছবি সংগৃহীত

 

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী গতকাল শনিবার গাজা থেকে ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে জিম্মিদের হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, “আমাদের নাগরিকদের অসম্মান করা হয়েছে, তাদের মুক্তি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তাই পরবর্তী ধাপে এমন ঘটনা না ঘটানো পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।”

হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ছয় ইসরায়েলি শনিবার নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তাদের মধ্যে এলিয়া কোহেন (২৭), ওমর শেম তভ (২২) এবং দ্বৈত নাগরিক ওমর ওয়েনকার্ট (২৩) কে মধ্য গাজার নুসেইরাতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্দি থাকার পর তারা মুক্তি পান।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফায় তাল শোহাম (৪০), এভারা মেঙ্গিস্তু (৩৮) এবং হিশাম আল সায়েদ (৩৭) নামের আরও তিনজনকেও রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হয়।

ইসরায়েলি প্রশাসনের দাবি, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্তিপ্রাপ্তদের নিয়ে জনসম্মুখে ‘প্রচারমূলক কার্যক্রম’ চালাচ্ছে, যা তাদের দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য। হামাসের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

এই ঘটনার পর যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের কারণে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে টানাপোড়েন বাড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১০:২৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫০৩ বার পড়া হয়েছে

মধ্যপ্রাচ্য

৬ জিম্মি ফেরত পেলেও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দিল না ইসরায়েল

আপডেট সময় ১০:২৬:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী গতকাল শনিবার গাজা থেকে ছয়জন ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। এর বিনিময়ে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করেছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এক বিবৃতিতে অভিযোগ করেছেন, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ‘অপমানজনক অনুষ্ঠানের’ মাধ্যমে জিম্মিদের হস্তান্তর করেছে। তিনি বলেন, “আমাদের নাগরিকদের অসম্মান করা হয়েছে, তাদের মুক্তি নিয়ে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তাই পরবর্তী ধাপে এমন ঘটনা না ঘটানো পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে না।”

হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়া ছয় ইসরায়েলি শনিবার নিজ দেশে ফিরে গেছেন। তাদের মধ্যে এলিয়া কোহেন (২৭), ওমর শেম তভ (২২) এবং দ্বৈত নাগরিক ওমর ওয়েনকার্ট (২৩) কে মধ্য গাজার নুসেইরাতে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘ ১৬ মাস বন্দি থাকার পর তারা মুক্তি পান।

এছাড়া, দক্ষিণ গাজার রাফায় তাল শোহাম (৪০), এভারা মেঙ্গিস্তু (৩৮) এবং হিশাম আল সায়েদ (৩৭) নামের আরও তিনজনকেও রেডক্রসের মাধ্যমে ইসরায়েলে ফেরত পাঠানো হয়।

ইসরায়েলি প্রশাসনের দাবি, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মুক্তিপ্রাপ্তদের নিয়ে জনসম্মুখে ‘প্রচারমূলক কার্যক্রম’ চালাচ্ছে, যা তাদের দৃষ্টিতে অগ্রহণযোগ্য। হামাসের পক্ষ থেকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

এই ঘটনার পর যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। ইসরায়েলি সিদ্ধান্তের কারণে ৬২০ জন ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে নতুন করে টানাপোড়েন বাড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধবিরতি প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলতে পারে।