ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য মার্কিন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত দিলেন ট্রাম্প

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 53

ছবি: সংগৃহীত

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় আর্থিক সহায়তা বন্ধের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেওয়া হুমকির পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই আদেশ জারি করেন।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভূমি সংস্কার নীতি জনগণের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দেশটির সরকার কৃষিজমি বাজেয়াপ্ত করছে এবং নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর প্রতি অন্যায় আচরণ করছে। তবে তার এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল হিসাব-নিকাশও কাজ করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে, যা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের একটি বড় কারণ হতে পারে।

এদিকে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ক, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তবে তার সরকার ভূমি সংস্কার নীতির পক্ষে অনড় রয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘আমেরিকা-বিরোধী’ অবস্থানের প্রতিবাদে তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন না।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য মার্কিন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত দিলেন ট্রাম্প

আপডেট সময় ০৪:০৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ আফ্রিকায় আর্থিক সহায়তা বন্ধের একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। চলতি সপ্তাহের শুরুতে দেওয়া হুমকির পর তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এই আদেশ জারি করেন।

ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার নতুন ভূমি সংস্কার নীতি জনগণের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, দেশটির সরকার কৃষিজমি বাজেয়াপ্ত করছে এবং নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর প্রতি অন্যায় আচরণ করছে। তবে তার এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আন্তর্জাতিক রাজনীতির জটিল হিসাব-নিকাশও কাজ করছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে, যা ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের একটি বড় কারণ হতে পারে।

এদিকে, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা ইলন মাস্ক, যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছেন, তিনি দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী নীতির অভিযোগ তুলেছেন।

ট্রাম্পের ঘোষণার পর এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেননি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। তবে তার সরকার ভূমি সংস্কার নীতির পক্ষে অনড় রয়েছে। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকার ‘আমেরিকা-বিরোধী’ অবস্থানের প্রতিবাদে তিনি দেশটিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেবেন না।