০৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫
শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে মা–মেয়েকে হত্যা: গৃহকর্মী আয়েশা ঝালকাঠিতে গ্রেপ্তার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হচ্ছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ঢাকা-১১ আসনে নির্বাচন করবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম থাই–কাম্বোডিয়া সীমান্তে পুনরায় উত্তেজনা: অস্ত্রবিরতি ভেঙে বিমান হামলা, নিহত ১ সৈন্য ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল জার্মান সেনাবাহিনী বাড়ছে: ২০৩৫ সালের মধ্যে ২,৬০,০০০ সক্রিয় সদস্যের লক্ষ্য অনুমোদন মধ্যপ্রাচ্যের কঠিনতম পানি প্রকল্প সম্পন্ন করল ইরান ফিনল্যান্ডে ডাটা সেন্টারের নির্গত  তাপে গরম হচ্ছে পুরো শহর চীন কোয়ান্টাম কম্পিউটারে সফলতা পেলে যুক্তরাষ্ট্রকে এক নিমেষে প্রস্তরযুগে পাঠিয়ে দেবে যুক্তরাষ্ট্রের F-35 যুদ্ধবিমান প্রকল্পে ফিরে আসার বিষয়ে আরো একধাপ এগিয়ে গেল তুরস্ক: এমনটাই জানিয়েছেন তুরস্কে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত টম ব্যারাক।

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ: খেলাধুলায় নিষিদ্ধ হলেন ট্রান্স নারীরা

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০৪:১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 74

ছবি সংগৃহীত

 

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নতুন নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করা হয়েছে, খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বলা হয়েছে, পুরুষদের এবং মহিলাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য শারীরিক এবং জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে আলাদা দল হবে। এর ফলে, ট্রান্স নারীদের যেহেতু জৈবিকভাবে পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হয়, তাই তারা মহিলাদের দলে খেলার সুযোগ পাবেন না।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতি বিভিন্ন সমাজিক গোষ্ঠী, বিশেষত এলজিবিটি+ আন্দোলন, তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন যে, এই নিষেধাজ্ঞা ট্রান্স সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তবে, ট্রাম্পের সমর্থকরা যুক্তি দিয়েছেন যে, এটি ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার ন্যায্যতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

বিজ্ঞাপন

অ্যাডভোকেট এবং ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মীরা বলেছেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে সমাজে বিভাজন বাড়বে এবং ট্রান্স নারীদের সামাজিক স্বীকৃতি এবং সমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা জানান, “এটি আমাদের অধিকারের ওপর আঘাত, এবং আমাদের অধিকার লড়াইয়ের জন্য এটি বড় বাধা।”

ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপকে একটি “ন্যায্যতার” পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছে, যা বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণের সময় অন্যান্য নারীদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় অমিত সুবিধা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে বিতর্ক চলছে। যেখানে একপক্ষ এর পক্ষ নিলেও অন্যপক্ষ তা মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দাবি করছে। দেশটির উচ্চ আদালতেও এ ব্যাপারে মামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্রাম্পের নতুন নির্বাহী আদেশ: খেলাধুলায় নিষিদ্ধ হলেন ট্রান্স নারীরা

আপডেট সময় ০৪:১১:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সই করা নতুন নির্বাহী আদেশে ঘোষণা করা হয়েছে, খেলাধুলায় ট্রান্স নারীদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এই আদেশের মাধ্যমে ট্রাম্প প্রশাসন এমন একটি পদক্ষেপ নিয়েছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠেছে।
এই নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে বলা হয়েছে, পুরুষদের এবং মহিলাদের খেলাধুলায় অংশগ্রহণের জন্য শারীরিক এবং জৈবিক বৈশিষ্ট্য অনুসারে আলাদা দল হবে। এর ফলে, ট্রান্স নারীদের যেহেতু জৈবিকভাবে পুরুষ হিসেবে গণ্য করা হয়, তাই তারা মহিলাদের দলে খেলার সুযোগ পাবেন না।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের প্রতি বিভিন্ন সমাজিক গোষ্ঠী, বিশেষত এলজিবিটি+ আন্দোলন, তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তারা দাবি করেছেন যে, এই নিষেধাজ্ঞা ট্রান্স সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। তবে, ট্রাম্পের সমর্থকরা যুক্তি দিয়েছেন যে, এটি ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার ন্যায্যতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।

বিজ্ঞাপন

অ্যাডভোকেট এবং ট্রান্সজেন্ডার অধিকারকর্মীরা বলেছেন যে, এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে সমাজে বিভাজন বাড়বে এবং ট্রান্স নারীদের সামাজিক স্বীকৃতি এবং সমতা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তারা জানান, “এটি আমাদের অধিকারের ওপর আঘাত, এবং আমাদের অধিকার লড়াইয়ের জন্য এটি বড় বাধা।”

ট্রাম্প প্রশাসন এই পদক্ষেপকে একটি “ন্যায্যতার” পদক্ষেপ হিসেবে তুলে ধরেছে, যা বিশেষ করে স্কুল ও কলেজের খেলাধুলায় ট্রান্সজেন্ডার নারীদের অংশগ্রহণের সময় অন্যান্য নারীদের বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় অমিত সুবিধা সৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে বিতর্ক চলছে। যেখানে একপক্ষ এর পক্ষ নিলেও অন্যপক্ষ তা মানবাধিকার লঙ্ঘন হিসেবে দাবি করছে। দেশটির উচ্চ আদালতেও এ ব্যাপারে মামলা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।