ঢাকা ০৪:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পেন্টাগনে ৫,৪০০ কর্মী ছাঁটাই, নতুন নিয়োগ অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত দেশ গঠনে সবার ঐক্য দরকার: মির্জা ফখরুল ট্রাম্পের নতুন পরিকল্পনা: অবৈধ অভিবাসীদের সামরিক ঘাঁটিতে আটকের উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেন খনিজ চুক্তি: স্বাক্ষরের প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে কমলগঞ্জে হলুদ ফুলকপির চাষে নতুন সম্ভাবনার সৃষ্টি, চাষিরা উপভোগ করছেন লাভের সাফল্য নয়াদিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ সীমান্ত সম্মেলন: বিজিবির দাবি, সীমান্তে হত্যাকাণ্ড শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসা হোক স্পেসএক্স উৎক্ষেপণ করল ২৩টি স্টারলিংক স্যাটেলাইট, দ্রুত ইন্টারনেটের নতুন দিগন্ত রমজান মাসে বিদ্যুৎ সরবরাহের স্বাভাবিকতা নিশ্চিত করতে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি: জ্বালানি উপদেষ্টা বৈষম্যবিরোধীদের নতুন ছাত্র সংগঠনের আত্মপ্রকাশ আজ: স্লোগান হবে ‘স্টুডেন্টস ফার্স্ট, বাংলাদেশ ফার্স্ট’ ভুয়া পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণা, স্থানীয়দের হাতে আটক যুবক

কঙ্গোর গোমায় তীব্র লড়াই: পাঁচ দিনে নিহত ৭০০, আহত হাজারো

খবরের কথা ডেস্ক

 

পূর্বাঞ্চলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর বৃহত্তম শহর গোমায় তীব্র লড়াইয়ে পাঁচ দিনে কমপক্ষে ৭০০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও ২,৮০০ জন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ এবং কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই গত রবিবার থেকে আরও তীব্র হয়েছে। বিদ্রোহীরা এখন দক্ষিণ কিভুর রাজধানী বুকাভুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জাতিগত তুতসিদের সমন্বয়ে গঠিত এম২৩ গোষ্ঠী দাবি করছে, তারা সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। তবে কঙ্গো সরকার বলছে, রুয়ান্ডার সহায়তায় বিদ্রোহীরা পূর্বাঞ্চলের বিপুল খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও কঙ্গো সরকারের অংশীদারদের করা এক মূল্যায়নে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডুজারিক সতর্ক করে বলেন, “মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

এএফপির তথ্যমতে, কঙ্গোর সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে গোমা ও বুকাভুর মধ্যবর্তী রাস্তায় প্রতিরক্ষামূলক লাইন স্থাপন করেছে। পাশাপাশি, বুকাভুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শত শত বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

جن-জ্যাক পুরুসি সাদিকি, দক্ষিণ কিভুর গভর্নর, রয়টার্সকে জানান যে সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ করছে। তবে এই দাবির স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব হয়নি।

এদিকে, এম২৩ ঘোষণা দিয়েছে, তারা পশ্চিমে রাজধানী কিনসাসা পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর আগে, সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৭ শান্তিরক্ষী নিহত হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৫২২ বার পড়া হয়েছে

কঙ্গোর গোমায় তীব্র লড়াই: পাঁচ দিনে নিহত ৭০০, আহত হাজারো

আপডেট সময় ১১:০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

পূর্বাঞ্চলীয় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর বৃহত্তম শহর গোমায় তীব্র লড়াইয়ে পাঁচ দিনে কমপক্ষে ৭০০ জন নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সংঘর্ষে আহত হয়েছে আরও ২,৮০০ জন।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩ এবং কঙ্গোর সামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই গত রবিবার থেকে আরও তীব্র হয়েছে। বিদ্রোহীরা এখন দক্ষিণ কিভুর রাজধানী বুকাভুর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানা গেছে।

জাতিগত তুতসিদের সমন্বয়ে গঠিত এম২৩ গোষ্ঠী দাবি করছে, তারা সংখ্যালঘুদের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। তবে কঙ্গো সরকার বলছে, রুয়ান্ডার সহায়তায় বিদ্রোহীরা পূর্বাঞ্চলের বিপুল খনিজ সম্পদের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। ১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাত সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও কঙ্গো সরকারের অংশীদারদের করা এক মূল্যায়নে পাঁচ দিনের লড়াইয়ে হতাহতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডুজারিক সতর্ক করে বলেন, “মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

এএফপির তথ্যমতে, কঙ্গোর সামরিক বাহিনী বিদ্রোহীদের অগ্রগতি ঠেকাতে গোমা ও বুকাভুর মধ্যবর্তী রাস্তায় প্রতিরক্ষামূলক লাইন স্থাপন করেছে। পাশাপাশি, বুকাভুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শত শত বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

جن-জ্যাক পুরুসি সাদিকি, দক্ষিণ কিভুর গভর্নর, রয়টার্সকে জানান যে সরকারি বাহিনী বিদ্রোহীদের প্রতিরোধ করছে। তবে এই দাবির স্বাধীনভাবে যাচাই সম্ভব হয়নি।

এদিকে, এম২৩ ঘোষণা দিয়েছে, তারা পশ্চিমে রাজধানী কিনসাসা পর্যন্ত অগ্রসর হওয়ার পরিকল্পনা করছে। এর আগে, সংঘর্ষে জাতিসংঘের ১৭ শান্তিরক্ষী নিহত হন।