ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
ঢাকায় শীঘ্রই চালু হচ্ছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় ঈদের ছুটি অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে না: অর্থ উপদেষ্টা বাজেটে বৈষম্যের প্রতিফলন, বিএনপির ১৮০ দিনের রূপরেখা ঘোষণা আমির খসরুর সুষ্ঠু নির্বাচনই প্রকৃত সংস্কারের প্রথম শর্ত: আব্দুন নূর তুষার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে নতুন ৫ অস্থায়ী সদস্য ঈদের ছুটিতেও খোলা থাকবে সব ফিলিং স্টেশন: জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা ভুটানের বিপক্ষে আজ মাঠে হামজা, অভিষেকের অপেক্ষায় ফাহামিদুল-শমিত! পঞ্চগড়ে ভুট্টাক্ষেতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু শেখ মুজিবসহ মুজিবনগর সরকারের সবাই মুক্তিযোদ্ধা: উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম ইসরায়েলের গোলান হাইটসে সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে রকেট হামলার দাবি
ডোনাল্ড ট্রাম্প:

বিত্তের সাম্রাজ্যের পরিমাপ, মালিকানায় যা যা রয়েছে

খবরের কথা ডেস্ক
  • আপডেট সময় ০১:১৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 48

ডোনাল্ড ট্রাম্প: বিত্তের সাম্রাজ্যের পরিমাপ, মালিকানায় যা যা রয়েছে

 

মার্কিন রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি পরিচিত নাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে আলোচিত হলেও, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও। কিন্তু ট্রাম্পের সম্পত্তির পরিমাণ কত? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনেই। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাঁর সম্পদের আনুমানিক হিসাব উঠে এসেছে, যা তাকে বিত্তশালী ব্যক্তিদের তালিকায় আলাদা স্থান দিয়েছে।

ট্রাম্পের মূল সম্পদ তার পারিবারিক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য, দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন। নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ার, ৪০ ওয়াল স্ট্রিট, ফ্লোরিডার বিলাসবহুল অবকাশ কেন্দ্র, এবং লাস ভেগাস ও সানফ্রান্সিস্কোর অভিজাত হোটেলসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এর অধীনে রয়েছে। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে তাঁর মালিকানাধীন ১৯টি গলফ কোর্স রয়েছে, যা তাঁর আয়ের একটি প্রধান উৎস।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণ ব্যবসা ও বিনোদন শিল্প থেকে ট্রাম্পের বড় অঙ্কের আয় হয়। তাঁর মালিকানাধীন ‘ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ’ এবং ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ থেকে প্রতি বছর বিপুল অর্থ আসে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর মোট সম্পত্তি ছিল আনুমানিক ৬8০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, এই পরিমাণ ২০২৪ সালের জুন মাসে ছিল ৭৭০ কোটি ডলার।

তবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তুলনায় ট্রাম্পের সম্পত্তি তুলনামূলকভাবে কম। উদাহরণস্বরূপ, ইলন মাস্কের সম্পদ বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলার, জেফ বেজোসের ২১ হাজার কোটি ডলার, এবং মুকেশ আম্বানির ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি।

অর্থ-সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বড়াই করতে দেখা গেলেও, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং রাজনীতিতে তাঁর উপস্থিতি তাকে আলাদাভাবে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। বিত্তের নিরিখে হয়তো তিনি শীর্ষে নেই, কিন্তু তাঁর বিত্তবৈভব আর ক্যারিশমার গল্প বিশ্ববাসীর কাছে সবসময়ই রোমাঞ্চকর।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডোনাল্ড ট্রাম্প:

বিত্তের সাম্রাজ্যের পরিমাপ, মালিকানায় যা যা রয়েছে

আপডেট সময় ০১:১৬:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

মার্কিন রাজনীতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প একটি পরিচিত নাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে আলোচিত হলেও, তিনি একজন সফল ব্যবসায়ীও। কিন্তু ট্রাম্পের সম্পত্তির পরিমাণ কত? এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় অনেকের মনেই। বিভিন্ন সময়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে তাঁর সম্পদের আনুমানিক হিসাব উঠে এসেছে, যা তাকে বিত্তশালী ব্যক্তিদের তালিকায় আলাদা স্থান দিয়েছে।

ট্রাম্পের মূল সম্পদ তার পারিবারিক ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য, দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন। নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ার, ৪০ ওয়াল স্ট্রিট, ফ্লোরিডার বিলাসবহুল অবকাশ কেন্দ্র, এবং লাস ভেগাস ও সানফ্রান্সিস্কোর অভিজাত হোটেলসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এর অধীনে রয়েছে। এছাড়া আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশে তাঁর মালিকানাধীন ১৯টি গলফ কোর্স রয়েছে, যা তাঁর আয়ের একটি প্রধান উৎস।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নির্মাণ ব্যবসা ও বিনোদন শিল্প থেকে ট্রাম্পের বড় অঙ্কের আয় হয়। তাঁর মালিকানাধীন ‘ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ’ এবং ‘দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশন’ থেকে প্রতি বছর বিপুল অর্থ আসে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর মোট সম্পত্তি ছিল আনুমানিক ৬8০ কোটি ডলার। অন্যদিকে, ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, এই পরিমাণ ২০২৪ সালের জুন মাসে ছিল ৭৭০ কোটি ডলার।

তবে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তিদের তুলনায় ট্রাম্পের সম্পত্তি তুলনামূলকভাবে কম। উদাহরণস্বরূপ, ইলন মাস্কের সম্পদ বর্তমানে প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলার, জেফ বেজোসের ২১ হাজার কোটি ডলার, এবং মুকেশ আম্বানির ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি।

অর্থ-সম্পদ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বড়াই করতে দেখা গেলেও, ট্রাম্পের ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং রাজনীতিতে তাঁর উপস্থিতি তাকে আলাদাভাবে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। বিত্তের নিরিখে হয়তো তিনি শীর্ষে নেই, কিন্তু তাঁর বিত্তবৈভব আর ক্যারিশমার গল্প বিশ্ববাসীর কাছে সবসময়ই রোমাঞ্চকর।